খুলনায় বকেয়া বেতনের দাবিতে উত্তপ্ত শিল্পাঞ্চল

ঈদুল আজহার আগে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও মুজরি কমিশন বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে

ছে খুলনা যশোর অঞ্চলের ৯টি পাটকল। দাবি আদায়ের জন্য ৪ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে শ্রমিক নেতারা।

কর্মসূচীগুলো হচ্ছে, শনিবার (১৮ আগস্ট) রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ ও ২০ আগস্ট রেলপথ, রাজপথ ৬ ঘণ্টা করে অবরোধ এবং ২১ আগস্ট বিক্ষোভ সমাবেশ। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিআইডিসি রোডের পিপলস গোল চত্বরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের ডাকা শ্রমিক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ থেকে বলা হয়, পাওনা পরিশোধ না হলে ঈদের মধ্যে আন্দালন চালিয়ে যাবেন তারা।

জানা যায়, দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয়করণ বিল-২০১৮ বাতিল, পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্ধ, শ্রমিক কর্মচারিদের বকেয়া মজুরি, বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের দাবিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ১৬ দিনের আন্দোলনে নামবে শ্রমিকরা। কিন্তু ক্রিসেন্ট মিলে ৮ সপ্তাহ, প্লাটিনাম জুবিলী মিলে ৯ সপ্তাহ, খালিশপুর, দৌলতপুর ও স্টার জুটমিলে ৬ সপ্তাহ, আলিম ও ইস্টার্ন মিলে ৮ সপ্তাহ, কার্পেটিং মিলে ৭ সপ্তাহ ও জেজেআই’তে ৯ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। শ্রমিকরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। মিলে কাজ করেও মজুরি না পাওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার মজুরি ও বোনাস পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল শ্রমিকরা। রাত ৮টা পর্যন্ত বিল স্লিপ ও বোনাসের টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মিলগুলির কয়েকটি বিভাগ চালু থাকলেও বেশিরভাগ শ্রমিক মজুরি ও বোনাসের দাবিতে মিলগেটের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ চলাকালে প্লাটিনাম জুট মিলের প্রকল্প প্রধানসহ কয়েকটি মিলের প্রকল্প প্রধান শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি চেয়ে প্রকল্প প্রধানদের ধাওয়া দেয়।  এ সময় শিল্প ও খালিশপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনার পরেই রাত সাড়ে ৯টায় শ্রমিক নেতারা স্ব-স্ব মিলে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠক থেকে ৪ দিনের আন্দোলন কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতা মো. সোহরাব হোসেন জানান, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা রয়েছে শ্রমিকদের। এরমধ্যেই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ৪ দিনের কর্মসূচী ঘোষণায় গোটা শিল্পাঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মো. মুজিবর রহমান মল্লিক জানান, শুধুমাত্র ব্যাংক প্রসেসিং এর কারণে টাকা তুলতে না পারায় শ্রমিক কর্মচারীদের এ ভোগান্তি সৃস্টি হয়েছে।

শ্রমিক নেতা সরদার মোতাহার উদ্দিন বলেন, গত ঈদের পর থেকে শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া থাকায় চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে। প্রতি ঈদের আগে শ্রমিকদের  মজুরি বোনাস নিয়ে টালবাহানা করে বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয়। অবিলন্বে শ্রমিকদের মজুরি কমিশনসহ সকল বকেয়া পরিশোধের দাবি জানাই।


Share Tweet Send
0 Comments
Loading...
You've successfully subscribed to Bangladesh ASF
Great! Next, complete checkout for full access to Bangladesh ASF
Welcome back! You've successfully signed in
Success! Your account is fully activated, you now have access to all content.