এ কে এম শিহাব অনূদিত গ্রেগরী পেট্রোভিচ ম্যাক্সিমফ প্রণীত এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজম পুস্তকের ধারাবাহিক- ৪

এ কে এম শিহাব অনূদিত গ্রেগরী পেট্রোভিচ ম্যাক্সিমফ প্রণীত এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজম পুস্তকের ধারাবাহিক- ৪

অধ্যায়ঃ ৩ পাবলিক সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিজ

১। দালান কোটাঃ

বিপ্লবের সাথে সাথে অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্র সমূহের সামাজিকি করনের পাশাপাশি বড় বড় দালান কোটাকে ও সামাজিকি করন করা হবে ।

সমগ্র দেশে বড়ী ঘর নির্মানের জন্য নির্মান সমিতি সামগ্রীক নির্মান কর্ম সম্পাদন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। নির্মান শ্রমিক সমিতির সমবায় ও পল্লী গৃহ নির্মান সমিতি সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

নির্মান কার্যের সুবিধার জন্য ব্যাংক প্রয়োজনীয় ঋন সুবিধা প্রদান করবে।

২। গৃহায়ন সমস্যা

গৃহায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা রয়েছে, ফলে গৃহ ব্যবসা নিয়ে ফটকা কারবার চলে, যত দ্রুত সম্ভব এই খাতকে সামাজিকি করন করা হবে, বসবাসের জন্য গৃহ নির্মান করা হবে অলাভজনক প্রকল্প হিসাবে ।

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে বাস গৃহ বিতরন করা হবে, সেই জন্য বন্দবস্ত প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের কোন প্রকার ভাড়া বা মূল্য পরিশোধ করতে হবে না । প্রয়োজন মত হোটেল বা বোর্ডিং নির্মান করা হবে । এই সামগ্রীক কর্মকান্ড গৃহ নির্মান ও ব্যবস্থাপনা কমিটি এই কার্য সম্পাদন করবে।

গৃহ নির্মান প্রকল্পে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ যেন সুবিধা নিতে পারেন তার জন্য শহর ও গ্রামে কৃষি ও শিল্প কারখানার মাঝে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে ।

৩। পরিবহন খাত

সকল প্রকার পরিবহন খাত, বিশেষ করে রেলপথ, এবং পানি পথ ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে অনেক দিক থেকে লাভবান হওয়া যায়। আধুনিক সাম্যবাদি অর্থনীতিতে এই খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। পরিবহন খাতের উন্নয়ন না হলে উৎপাদন ব্যবস্থা ও বাঁধা প্রাপ্ত হয় । সিন্ডিক্যালাইজেশন প্রক্রিয়ায় প্রথম পদক্ষেপেই এই খাতকে সামাজিকিকরন করা হবে ।

পরিবহন ব্যবস্থাটিকে সিন্ডিক্যালিস্ট নীতির ভিত্তিতে সাজানো হবে, যমন- সাধারন উপরি ভাগে, মাটির নীচ দিয়ে, আকাশ পথে, এবং পানি পথের সকল পরিবহন কে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের হাতে হস্তান্তর করা হবে। সকল ব্যাক্তিগত  পরিবহন খাতকে সামাজিকি করন করা হবে। পরিবহন খাতকে ও সাধারন সাম্যবাদি অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত করা হবে, ন্যায় সঙ্গত ভাড়া নির্ধারন করে দেয়া হবে। এই পরিবহন খাত নিয়ে কোন প্রকার চল চাতুরীর সুযোগ দেয়া হবে না । সকল কিছুই সামাজিক স্বার্থে পরিচালিত হবে। সেই সামাজিক চুক্তিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হবে । সেই চুক্তি কোন বিশেষ ব্যাক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভর করে হবে না । তা নির্ধারন করা হবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে। এই খাতকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক অর্থ ও পন্য দিয়ে সহায়তা করবে।

৪। মেইল, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন এবং রেডিও।

চিঠিপত্র এবং টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা রেল সড়কের মতই জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য সামাজিকি করন করা হবে। ইতিমধ্যে বহুদেশ এই খাত গুলোকে জাতীয় করন করে সুফল পেয়েছে। অনেক দেশেই জনগণের স্বার্থের সাথে রাষ্ট্রের স্বার্থ সমার্থক নয়। তাই পোস্টাল ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থাকে ব্যাক্তি ও কর্পোরেশনের আওতামুক্ত করতে হবে এবং এমনকি অবশ্যই রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রন বিলুপ্ত করতে হবে। একেই ভাবে টেলিফোন ও রেডিও কে সকল প্রকার জন স্বার্থ বিরোধী প্রভাব থেকে স্বাধীন করতে হবে ।

সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সিন্ডিক্যালাইজড করতে হবে। এই সকল ব্যবস্থার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সেই সকল খাতের সেবা প্রদান কারী শ্রমিক ইউনিয়ন ও কর্মীদের হাতে হস্তান্তর করতে হবে । যা সামগ্রিক ভাবে সাম্যবাদি অর্থনীতির অংশ হিসাবে পরিচালিত হবে । পরবর্তীকালে অন্যান্য শাখার মতো এবং নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং দেশের সমৃদ্ধকরণের অনুপাতে এটি শিল্পায়িত এবং গ্রামীণায়িত হবে, অর্থাৎ জনসাধারণের যোগাযোগের কর্মীরা তাদের শ্রম পরিবর্তিত করবে, শিল্প ও কৃষি উভয় ক্ষেত্রেই অংশ নেবে।

যেহেতু, বর্তমান সময়সূচীটি ডিজাইন করা হয়েছে, সেই জন্য ট্রানজিউশন সময়কালের মধ্যে, এখনও কৃষিতে অর্থনৈতিক ইউনিট থাকবে এবং কারুশিল্প এবং কুটিরর শিল্পের কিছু অংশে যা সাম্যবাদী অর্থনীতির অংশ হবে না, পরবর্তীটি উপযুক্ত চুক্তিতে প্রবেশ করবে তাদের সমবায় সমিতিগুলির অফিসগুলির মাধ্যমে পৃথক ইউনিটগুলির সাথে জনসাধারণের যোগাযোগ পরিষেবাগুলির ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত হবে।

৫। পাবলিক সার্ভিসেস।

জনসেবাগুলির মধ্যে রয়েছে: সুয়ারেজ , পানি, গ্যাস ও গরম করন, বিদ্যুৎ, জনকল্যাণ ও অন্যান্য কাজ যা শহুরে ও গ্রামীণ জনগনকে পরিসেবা দিয়ে থাকে।

এই পরিসেবাগুলি সাম্যবাদি অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সিন্ডিকালাইজড করা হবে, যেমন এই পরিসেবাগুলির পরিচালনা ও সংগঠন জনসাধারণের পরিসেবা কর্মীদের ইউনিয়নে স্থানান্তর করা হবে। এখানে, অর্থনীতির অন্যান্য সকল শাখায় যেমন শিল্পায়ন ও গ্রামীণকরণের নীতি ধীরে ধীরে চালু করা হবে, যার ফলে অবশেষে শ্রম সংহতকরণে পরিণত হবে।

স্বতন্ত্র কৃষি ইউনিটগুলির জন্য জনসাধারণের পরিষেবাদির ব্যবস্থাটি গ্রামের জীবনযাত্রার মৌলিক পরিবর্তনগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। এই উন্নতিগুলি কমিউনিস্ট অর্থনীতির দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উত্সাহিত করা হবে এবং সেই কারণে গ্রামগুলির মাধ্যমে জনসাধারণের পরিষেবাগুলি ব্যবহার করা যা দেশের কমিউনিস্ট কাঠামোর অংশ নয় তা কৃষক সমবায় সমিতিগুলির সাথে  সম্পর্ক উপযুক্ত চুক্তির দ্বারা নির্ধারিত হবে।

৬। মেডিসিন এবং স্যানিটেশন।

মেডিসিন ও স্যানিটেশন পাবলিক সার্ভিসেস যা একসাথে ওষুধপত্র ও ফার্মাসিউটিকাল শিল্পের সাথে, জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা হিসাবে সিন্ডিক্যালিক ভিত্তিতে গঠিত হবে। এই গুলিও কমিউনিস্ট অর্থনৈতিক সিস্টেমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মেডিকেল ও স্যানিটারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার পরিচালনা করবে। এই সকল পরিষেবাগুলি, যেমন সকল শাখা এবং কমিউনিস্ট সমাজের কাজগুলি, শিল্পায়িত এবং গ্রামীণায়িত হবে, যেমন ধীরে ধীরে, এবং যেখানেই সম্ভব, চিকিৎসা ও স্যানিটারি কর্মীরা তাদের কাজগুলি শিল্প ও কৃষি শ্রমের সাথে একত্রিত করবে।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সারা দেশকে চিকিৎসা ও স্যানিটারি সেন্টার, হাসপাতাল এবং স্যানটোটোয়ার নিখুঁত নেটের সাথে জুড়ে দেবে। যেহেতু এই পরিষেবাটি কমিউনিস্ট অর্থনীতির দ্বারা সমর্থিত হবে, তাই স্বতন্ত্র ইউনিটগুলি তার সহযোগিতামূলক সংস্থার ইউনিয়নগুলির মাধ্যমে তার খরচগুলি ও অংশীদার করতে হবে।

৭। সাধারণ শিক্ষা ও বিজ্ঞান।

প্রতিটি রাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থেই এগিয়ে যাবার জন্য সাধারন শিক্ষাকে সাদরে গ্রহন করে থাকে। ফলে রাস্ট্রের হতে যখন নিয়ন্ত্রনভার থাকে তখন সেটা সাধারন মানুষকে দাসে পরিনত করার প্রায়স চালায়। রাস্ট্রের স্বার্থে শিক্ষাকে এবং বিজ্ঞানকে ব্যবহার করতে চায়, বিদ্যালয় সমূহকে একপেশে চিন্তার জন্য রোবট তৈরির কারখানা বানায় রাষ্ট্র। আমরা রাশিয়ায় সেই চিত্রই দেখেছি, একটি সাম্যবাদি রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীন চিন্তার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাশা করেছিলো সকলেই কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই দেখল দুনিয়াবাসী। এরা ও তাদের বিদ্যালয় সমূহে রাষ্ট্রের কিছু দাসই পয়দা করেছিলো।

শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যই হলো শিশুদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলা যেন তারা বড় হয়ে সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারেন । তাই শিক্ষাকে অবশ্যই স্বাধীন ভাবে পরিচালনা করতে হবে, যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী স্বাধীন ভাবে নিজেদেরকে নতুন চিন্তাধারার গড়ে তুলতে পারে, জন্ম দিতে পারে নতুন ধারনার । শিক্ষার ভিত্তি হবে যুক্তি ও প্রমান বিশ্বাস নয়, অধিবিদ্যা নয় তা হবে সত্যিকার বিজ্ঞান সম্মত; সম্মিলিত শিক্ষা সকল লিঙ্গের লোকদেরকে একটি সাধারন শিক্ষার নির্দেশনা দেয়, ফলে বিজ্ঞান, ব্যবসা ও শিল্পের জগতে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ সৃজন করে। যা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে সয়ায়ক হয়।

একটি বিদ্যালয় অবশ্যই শিক্ষা দিবে, যেমন পিটার ক্রপথকিন বলেছেন, “ আটার বছরের আগেই সকল ছেলে মেয়েদেরকে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক ধারনা শিখিয়ে দিতে হবে। তারা যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে শিক্ষা গ্রহন গবেষণা নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হন। একেই সময়ে তাদেরকে সক্ষম করে তুলতে হবে যেন তারা শিল্প কারখানায় উৎপাদন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠে। তারা যেন সামাজিক সম্পদের ব্যবহার করতে জানে”। এই অবস্থা বিনির্মানের জন্য একেই কেন্দ্র থেকে একক নির্দেশনায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না ।

বিজ্ঞানে সঠিক বিকাশের জন্য চার্চ ও রাষ্ট্র থেকে বিদ্যালয় সমূহকে পৃথক ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। তা নিরাজবাদি বিপ্লবে আগেই সম্পাদন করতে হবে। সত্যিকার বিজ্ঞানের বিকাশ করতে হলে অর্থনৈতিক সাম্য, স্বাধীন ও রাষ্ট্র বিহীন সমাজ অবশ্যই কায়েম করতে হবে।

বিজ্ঞানের সামাজিকি করনের জন্য সামাজিক বিপ্লব সাধান করতে হবে। এই কথার অর্থ এই নয় যে সকলের চিন্তা ভাবনাকে একেই সমতলে নিয়ে আসা হবে; বা সকলেই বিজ্ঞানী হয়ে যাবেন। বিজ্ঞানের সামাজিকি করনের অর্থ হলো, বিজ্ঞান বিকশিত হবে সত্যিকার বিজ্ঞান হিসাবে, বিজ্ঞান ব্যবহার করা হবে সকল মানুষের কল্যাণে। এই প্রসঙ্গে মাইক্যাল বাকুনিন বলেছেন, “ বিজ্ঞান হবে সকলের জন্য, এটাতে সকলেই অংশ নিতে পারবেন এবং সকলেই উপকৃত হতে পারবেন, কোন মানুষের জন্যই বিজ্ঞান ক্ষতিকারক হবে না”।

“ প্রতিটি লোক শিক্ষা পাবে, প্রতিটি লোক কাজ পাবেন”- সামাজিক বিপ্লবের পর সকল লোকের জন্য শিক্ষা ও কাজের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে । বিজ্ঞানকে শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত করে দেয়া হবে, পল্লীর অঞ্চলে বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়া হবে। সাধারন জনগণ তাদের কাজে শারীরিক শ্রম সহজ করার জন্য ক্রমে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে শুরু করবেন। এবং বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নয়ন কর্মে প্রচন্ড গতি সঞ্চার হবে। “ এটা অবশ্যই সম্ভব, তা অবশ্যই করা হবে”- বলেছিলেন বাকুনিন, “এই অন্তর্বর্তী কালিন সময়টি যতদ্রুত সম্ভব অতিক্রম করা হবে। উচ্চতর বিজ্ঞান এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে । সকল প্রকার কুসংস্কারকে কঠোরভাবে বিলয় ঘটানো হবে। এখানে প্রভুত্বকারী শক্তির কোন অস্থিত্ব থাকবে না । কেবলই মানুষের স্বীকৃতি থাকবে সর্বত্র। মানুষের শক্তি ই হবে মুল শক্তি”।

নির্দেশনা, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সামাজিকীকরণ শুধুমাত্র তাদের সিন্ডিকালাইজেশনের মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে, অর্থাৎ এই পাবলিক পরিষেবাদির সংগঠন ও পরিচালনাকে শিক্ষা কর্মী ইউনিয়নে স্থানান্তরিত করা উচিত, তাদের কার্যক্রমগুলিকে আগ্রহী জনগোষ্ঠীর সাথে, বাবা-মা, অর্থনীতিবিদদের এবং তাদের সাথে সমন্বয় করা উচিত।  স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, একাডেমী, লাইব্রেরি, জাদুঘর এবং তাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব  শিক্ষা শ্রমিক ইউনিয়নের উপর ন্যাস্ত হবে।

জনসাধারণের জন্য সাধারণ শিক্ষার কর্মকাণ্ড কমিউনিস্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে । অতএব, দেশের সমবায় এবং  একক ব্যক্তিগত ইউনিটগুলি সমতাকে নিশ্চিত করার জন্য সমষ্টিগত অর্থনীতির কোষাগারে অবদান রাখবে, তাদের আয়গুলির একটি নির্দিষ্ট শতাংশ  বর্তুকী রূপে জমা রাখা হবে  এবং সাধারণ পরিষেবা গুলি বজায় রাখতে শিক্ষায় সেই অর্থ খরচ করা হবে ।

শিল্প ও থিয়েটার ও জনসাধারণের সেবা মূলক কাজ। তাদেরকে ও সাধারন শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করে গড়ে তোলা হবে এবং উত্তরোত্তর বিকাশের ও ভালো ভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে ।

ধর্ম কোন পাবলিক সেবা খাত নয়। সামাজিক বিপ্লব প্রকৃতিগত ভাবে ধর্ম বান্দ্বব নয়। তবে , এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্টগন কোন ভাবেই মানুষের বিশ্বাসের উপর নিপিড়ন মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবে না । এই বিষয়ে এনার্কো-সিন্ডিক্যালিস্টগন জেনেভা কনভেনশনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সমিতির বক্তব্য যথাযত ভাবে অনুসরন করবে। সেখানে বলা হয়েছে যে, “ ধর্মীয় বিষয় ব্যাক্তিগত চিন্তা ভাবনার ফসল, এটা যতক্ষন সাধারন মানুষের ক্রিয়া কর্মে যুক্ত না হয় ততক্ষণ তা অস্পৃশ্যই থেকে যাবে”।

৮। হিসাব - ব্যাংক এবং আর্থিক খাত।

হিসাব এবং পরিসংখ্যান উত্পাদন এবং খরচের মধ্যে সম্পর্ক সঠিক নিয়ন্ত্রণে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। পরিসংখ্যানগত তথ্যগুলির সাহায্যেই কেবল তাদের প্রয়োজনীয় ভারসাম্য নির্ধারণ করা, এবং উপযুক্ত বিতরণ এবং বিনিময় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, পরিসংখ্যানগত তথ্য ছাড়া একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলা অসম্ভব। অতএব, পরিসংখ্যান,  পাবলিক সার্ভিস গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করে থাকে। কারিগরি শাখাকে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো নগদ ক্রেডিট প্রদান করবে , যা সরাসরি সংশ্লিষ্ট পাবলিক পরিষেবাদি এবং বিশেষ করে বিতরণ এবং বিনিময় পরিষেবার জন্য গঠিত হবে।

সমস্ত বিদ্যমান ব্যাংকগুলিকে সামাজিকীকরণ করা হবে এবং নগদ এবং পণ্য ক্রেডিটের জন্য ব্যাংকের সাথে একত্রিত হবে। এটি, তার পরিসংখ্যানগত ফাংশন ছাড়াও, সমস্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করবে যা অবশ্যই, দেশের নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর সাথে পরিবর্তিত হবে। ব্যাংকটি কমিউনিস্ট অর্থনীতি এবং স্বতন্ত্র ইউনিট, বিশেষ করে কৃষি ইউনিটের পাশাপাশি বিদেশে স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের মধ্যে  যোগাযোগ স্থাপন করবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে, এটি বিদেশী বাণিজ্যের জন্য ব্যাংক হিসাবে কাজ করবে।

অভ্যন্তরীণ বিনিময় ক্ষেত্রের মধ্যে, ব্যাংকটি হ'ল কমিউনিজমের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, প্রতিটি ইউনিটের উন্নতি এবং কৃষির যান্ত্রিকীকরণের জন্য দরকারী  উপাদান এবং আর্থিক ক্রেডিটের মাধ্যমে যান্ত্রিক দিক থেকে পৃথক ইউনিটগুলিকে প্রভাবিত করবে । ফলে গ্রামীণ শ্রমের সামাজিকীকরণ - কৃষির সামাজিকীকরণের প্রয়োজনীয় পূর্বশর্ত পুরন করা হবে।

ব্যাংক এবং অ্যাকাউন্ট্যান্সির সামাজিকীকরণ তাদের সিন্ডিকালাইজেশনের মাধ্যমে অর্জন করা উচিত, অর্থাৎ এই জনসাধারণ পরিষেবাগুলিকে পরিচালনাকারী শ্রমিকদের পরিচালনায় স্থানান্তরিত করা হবে এবং সাধারণ কমিউনিস্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কমিউনিজমের সুদৃঢ়তার সাথে, শ্রম শিল্প ও অন্যান্য পাবলিক পরিষেবাদি হিসাবে গ্রামীণকৃত হবে, অর্থাৎ এটি একীকরণের নীতিতে ধীরে ধীরে সংগঠিত হবে।

টাকা মূল্যবান শ্রমের একটি সুনির্দিস্ট প্রতীক হিসাবে পরিগনিত হয়ে আছে ।  যার বৃহত্তম অংশটি এখন কয়েকটি পুঁজিপতি ও রাস্ট্রের হাতে শোষণের মাধ্যম হিসাবে  ব্যবহ্রত হচ্ছে, তা অবশ্যই সামাজিকীকরণ করা উচিত। অর্থের সামাজিকীকরণ, অর্থাৎ শ্রম সমাজের ফিরতি শ্রমের ফসল, শুধুমাত্র তার বিলুপ্তি করন করতে, কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই সম্ভব। পুরাতন শাসনের মুদ্রা বিলোপ সামাজিক বিপ্লবের প্রথম কাজগুলির মধ্যে একটি।

যাই হোক, এটি ট্রান্সিশন প্যারিওডে সম্পূর্ণভাবে অর্থ বিলুপ্ত করা অসম্ভব, কারণ কিছু ফাংশন যা এখন অর্থের উপর নির্ভরশীল, এখনও চলতে থাকবে, যদিও তাদের বিপজ্জনক দিকগুলি সরানো হবে। পুরোপুরি পরিপক্ক কমিউনিস্টিজমের একটি সিস্টেমের ধীরে ধীরে পদ্ধতির বাস্তবায়নের সময় অর্থ বিলুপ্ত হয়ে যাবে । যা বিতরণ দ্বারা বিনিময় প্রতিস্থাপন করবে। কিন্তু ট্রানজিউশন সময়ের মধ্যে, ব্যক্তিত্বের সাথে সাম্যবাদের সহ-অস্তিত্বের কারণে, পণ্য বিনিময় পুরোপুরি বাদ যাবে না। এবং যেহেতু অর্থের মূল কাজ হল বিনিময় মাধ্যমের একটি মাধ্যম - বিনিময়য়ের সবচেয়ে সুবিধাজনক মাধ্যম - এই পর্যায়ে এটি ছাড়া এটি করা সম্ভব হবে না।

শুরুতে, শ্রমের অর্থ প্রবর্তনের বাস্তব অসম্ভবতা (যার মূল্য কার্য দিবসের উপর ভিত্তি করে) কমিউনিস্ট অর্থনীতিতে স্বর্ণের মুদ্রাগুলি চিনতে হবে এবং পুঁজিবাদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মানগুলির মাধ্যমে তাদের বিনিময়ে পরিচালিত করতে হবে। এটা বিশেষ করে বিদেশী বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অভ্যন্তরীণ বিনিময়ে, শিল্পের একটি বৃহৎ অংশের সামাজিকীকরণের কারণে, যা উত্পাদনের স্কেল নির্ধারণ করার সুযোগ প্রদান করবে, মূল্য নির্ধারণ করা এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাদের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ট্রানজিউশন সময়ের কালে, অর্থ বৈষম্য ও শোষণ প্রতিষ্ঠার হুমকি হতে পারে না - কারণ উৎপাদন ছাড়াও উৎপাদন ও পরিবহণের সমস্ত মাধ্যমের সামাজিকীকরণ এবং কৃষি ব্যতীত শিল্পের সকল শাখায় শ্রম ও তার পণ্যগুলির সামাজিকীকরণ - এটি পুঁজিবাদী সমাজে যেমন শক্তি ছিল, তা হারাবে তাদের ক্ষমতা। নগদ অর্থ সুদের উপর ধার্য করা যায় না, তাই আর্থিক মূলধনের জন্য কোন জায়গা থাকবে না। উত্পাদনের সমস্ত সরঞ্জাম এবং মাধ্যম, সামাজিকীকরণ করা, বিক্রয় বা ক্রয়ের বিষয় নয়; তাই শিল্প মূলধনের জন্য কোন ব্যবস্থা থাকবে। ভাড়াটে শ্রম বন্ধের ফলে উদ্বৃত্ত মূল্যবৃদ্ধি দ্বারা হাউজিং মূলধনের সম্ভাবনা সরাতে হবে; সমবায় দ্বারা ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীর প্রতিস্থাপন এবং কমিউনিস্ট এবং ব্যক্তিগত অর্থনীতির মধ্যে মিশ্র উপাদান-আর্থিক নীতির সরাসরি বিনিময় প্রতিষ্ঠার ফলে ব্যবসায়ের মূলধন রূপে অর্থের সম্ভাবনাকে সরিয়ে ফেলা হবে। সুতরাং ট্রানজিউশন সময়কালে, যা সবকিছুকে সামাজিকীকরণ করা হবে, কিন্তু সকলকেই যুক্ত করা হবে না, অর্থ কেবল মানের মান হিসাবে বিদ্যমান থাকবে এবং অর্থনৈতিক সমতাগুলির বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে প্রাকৃতিক বিনিময় প্রক্রিয়ার সহজীকরণের মাধ্যম হিসাবে ঠিকে থাকবে।

সামাজিক উত্থানের পরে সমাজের স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে, বার্টার মূল্যের নীতিতে প্রাকৃতিক বিনিময়কে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হবে, এবং এর ফলে মান হিসাবে অর্থের ব্যবহার হ্রাস পাবে। কৃষি সাম্রাজ্যের ধীরে ধীরে রূপান্তর অর্থের ভূমিকা আরও কমিয়ে দেবে এবং বন্টন দ্বারা বিনিময়ের প্রচলন - অবশেষে পুরোপুরি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এটিকে বাতিল করে দিবে।

৯। বিনিময় ও বিতরন

একটি পুঁজিবাদী সমাজে উৎপাদিত পন্যের বিনিময় ও বিতরন হয় ব্যবসায়ীক ভাবে। এই ধরনের বিতরন বিশৃংখল ও অসম। পুঁজিবাদী সমাজে যারা কাজ করেন তারা পায় কম এবং প্রায়স কম গুনাবলী সম্পন্ন পন্য ভোগ করে থাকে । আর যারা কাজ করেন না তারা পায় বেশী । পন্য উৎপাদকের নিকট ফিরে আসে। উৎপাদকগণ সেই সকল পন্য উঁচু দামে ক্রয় করেন। আর অন্য এক শ্রেনী মধ্যসত্ত্বভূগী হিসাবে মাঝ খান থেকে বিপুল অর্থ আত্মস্থ করে নেয়। একটি চক্র বাজারে নিজেদের নিয়ন্ত্রন কায়েম করে পরগাছা হিসাবে পন্যের মূল্য বাড়িয়ে নিজেদের সুবিধাটা আদায় করে নিতে পারে। একজন পন্য পয়দা কারী নিজেই সেই পন্যের ভুক্তা হিসাবে উৎপাদন খরচের চেয়ে অধিক মূল্যে পন্য কিনে নেয় ।

প্রকৃতিগত ভাবেই পুঁজিবাদী পদ্বতী একটি ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির হয়ে থাকে, এটা ব্যবসাকে ও বিনাশ করে দেয়, তাই এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটিয়ে যথাযথ ভাবে পারস্পারিক সম্প্রীতির মাধ্যমে, নিরাজবাদি বা অপুজিবাদি ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।

সমাজ ও অর্থনীতিকে সাম্যবাদি ধারায় পুনর্গঠন করে উৎপাদন ব্যবস্থাকে নতুন ভাবে বিন্যস্থ করতে হবে। উৎপাদক কমিউন কায়েম করে তার সম্পূরক ভোক্তা কমিউন কায়েম করতে হবে । ভোক্তাদের সামগ্রিক কাজ সংঘটিত ভাবে সম্পাদন করার ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামে শহরে বিতরন ব্যবস্থাকে সহজতর করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে । ভোক্তা সমিতি সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রনের কাজে নিয়োজিত হবে ।

রাশিয়ান বিপ্লবের অভিজ্ঞতার থেকে এবং তার অপ্রত্যাশিত প্রবণতার পরবর্তী বিকাশের অভিজ্ঞতা থেকে শেখানো, অ্যানারোকো-সিন্ডিকালস্টরা ভোক্তাদের সহযোগীদেরকে বন্টনকারী সংস্থা হিসাবে ব্যবহার করবে, এমনভাবে নির্মিত যে  কমিটি মৌলিক সাংগঠনিক কোষ হয়ে যাবে। ভোক্তাদের কমিউনিস্টরা নিজেদের মধ্যে উভয় প্রযোজক এবং ভোক্তাদের একত্রিত করবে। ফলস্বরূপ, উৎপাদক বা ভোক্তাদের একনায়কতন্ত্রের উত্থানের কোনো সুযোগ নেই।

ভোক্তা সংগঠন, যা এখানে তার সর্বাধিক সম্ভাব্য অর্থে বোঝা যায়, এর দুটি মৌলিক উপাদান, অ্যাকাউন্টিং এবং বিতরণ কর্ম নিয়ে গঠিত হবে। তা অ্যাকাউন্টিং অ্যাকাউন্ট ক্যাশ-অ্যান্ড-গুডস ক্রেডিট দ্বারা পরিচালিত হবে, যা বিতরণকারী সংস্থার একটি অংশ হয়ে উঠবে।

সাম্যবাদি ব্যবস্থার আওতায় জাতীয় অর্থনীতিতে সকল প্রকার উৎপাদিত পন্যের একটি গুদাম ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলা হবে। সেখানে কারখানায়, উৎপাদন কেন্দ্রে এবং কর্মশালায়  তৈরী পন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। সেখান থেকে সকল প্রকার দ্রব্য পন্য সরবরাহ করা হবে। গ্রামীন ও শহর অঞ্চলে সেই ব্যবস্থা থাকবে। যে সকল এলাকায় যে ধরনের দ্রব্য সকলের পছন্দনীয় সেই সকল অঞ্চলে সেই সকল পন্য দ্রব্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে ।

কৃষি পন্য ক্রয়ের জন্য কেহ চাইলে তার ইচ্ছেমত কিনতে পারবেন। সেই ব্যাংক নগদ ও অর্থে সহায়তা করবে। ক্ষেত্র বিশেষে পন্য দ্রব্য ক্রয়ের জন্য কিছু টুকেন প্রদান করা হবে। যেন ক্রেতা  সাধারন তাদের পছন্দ মত সব কিছু কিনতে পারেন। তবে তার জন্য যথাযথ হিসাব সংরক্ষিত থাকবে।

অন্তর্বর্তী কালিন সময়ে সাম্যবাদ হয়ত সকল মানুষের চাহিদা সম্পূর্ন ভাবে মেটাতে পারবে না । তবে প্রধান লক্ষ্য হবে সমাজের সকলের চাহিদা পুরন করা । সেই সাম্যবাদি সমাজের মূলনীতি ই হবে “সকলের চাহিদা মত সরবরাহ নিশ্চিত করা”। কৃষি ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের সর্বাত্মক প্রচস্টা নিয়োজিত হবে মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানো।  সমাজের শিশু, প্রবীন ও অক্ষম লোকদেরকে প্রাধান্য দিয়ে পন্য সরবরাহের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে ।

ভোক্তানীতি হবে এমন যে, সকল কছুই অর্থের মানদন্ডে পন্যকে বিবেচনায় নেয়া হবে। সেই ক্ষেত্রে সমতা মূলক নীতির ব্যাতিক্রম হবে না । সমাজের নীতি হবে সকলেই সকলের জন্য কাজ করবেন । যারা কাজ করতে পারবেন না তারা ও কর্মজীবীদেরমতই পন্য দ্রব্য পাবেন। তবে, যারা কাজ করতে সক্ষম তাদেরকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। নইলে তাকে না খেয়ে থাকতে হবে। হয় মরবেন বা এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন। এই নীতি ক্রমে বাস্তবায়িত হবে।

অধ্যায়ঃ ৪ কর ব্যবস্থা

যে সমাজটি সামাজিক বিপ্লবের ভেতর দিয়ে বিকশিত হবে সেখানে কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় সংস্থা থাকবে না, কোন প্রকার কর আদায়ের ব্যবস্থা ও রাখা হবে না। কোন প্রকার পন্য, শ্রম বা উৎপাদনের উপর করারোপ করা হবে না। সকল কিছুই সমাজের সম্পদ হিসাবে পরিগনিত হবে ।

তবে সেই সাম্যবাদি সমাজ গড়ে তুলার জন্য কিছু সময় নেয়া হবে। প্রাথমিক স্তরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে করারোপ করা হবে। যেন সমাজের সত্যিকার সাম্য কায়েম করা যায় ।

এই আদায় কৃত কর গুলি পরিবহন, হাইওয়ে, ডাক সেবা, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা, সাধারণ শিক্ষা ও সেনাবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংগঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে - সমস্ত পাবলিক পরিষেবাদি যা পৃথক পৃথক ইউনিটগুলির নিষ্পত্তি করা হবে তবে যার খরচ তারা ভাগ করবেন না।

এই ধরনের ট্যাক্স আয় নীতির উপর ভিত্তি করে করা হবে। পরিমাণ জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। স্বতন্ত্র ইউনিটগুলিকে একত্রিত করে সহযোগী সমিতিগুলির মাধ্যমে ব্যাংকের ক্যাশ-অ্যান্ড-গুডস ক্রেডিট দ্বারা "কর" নেওয়া হবে।


Share Tweet Send
0 Comments
Loading...
You've successfully subscribed to Bangladesh ASF
Great! Next, complete checkout for full access to Bangladesh ASF
Welcome back! You've successfully signed in
Success! Your account is fully activated, you now have access to all content.