কর্মক্ষেত্রে গুন্ডামী মোকাবিলার কৌশল (Dealing with bullying at work guide)

কর্মক্ষেত্রে গুন্ডামী মোকাবিলার কৌশল

কর্ম ক্ষেত্রে কর্মী ছাটাই, সম্পদ হ্রাস করন এবং কর্মীদের কাজ বাড়িয়ে অধিক  উতপাদন করার উদ্যোগ সকল সময়ই শ্রমিকদের উপর প্রচন্ড চাপ তৈরী করে থাকে । ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষনায় জানিয়েছেয়ে যে, এই সকল কারনেই শ্রমিকদের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। বেশ কিছু গবেষনা বলছে, শ্রমিকদের উপর বসেরা যে চাপ দিয়ে থাকে তার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের সহকর্মীদের মাধ্যমে বেশী চাপ প্রদান করা হয়ে থাকে । আপনি সেই গুলোকে যে নামেই ডাকুন না কেনঃ অপমান, আগ্রাসন, নিপিড়ন মূলক ব্যবস্থাপনা, বেইজ্জতী করা, বা কোন কোন সময় কৌতুক করে কছু করা এর সবকিছুই করা হয় গুন্ডামী হিসাবে।

এসবের উদ্দেশ্য চাপ প্রয়োগ করা । জাতীগত বা যৌন লাঞ্চনা, সকল কিছুই হয় যৌনতা ভিত্তিক। অক্ষমতাকে ও ব্যবহার করা হয় গুন্ডামী হিসাবে । গুন্ডামী করা হয় একটি দির্ঘ মেয়াদি আগ্রাসী কাজ হিসাবে, এটা কোন সময় হয় শারীরিক ও মানসিক ভাবে, এটা কোন সময় ব্যাক্তিগত আবার কোন সময় দলীয় ভাবে ঘটে, যার প্রতিবাদ বা প্রতিকারের কোন পথ থাকে না । এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে খুব কমই তাকে অপমান জনক কর্ম হিসাবে দেখা হয়, অথচ তা আবার প্রায়সই ঘটে থাকে। আবার সেই সকল ক্ষেত্রে তাদের এহেন আচরনের তেমন কোন প্রকার প্রমান ও রাখা হয় না । আবার সরাসরি প্রতিবাদ ও করা যায় না ।

এই ভাবে শ্রমিকদের নিজস্ব অত্মবিশ্বাসকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এটা এক ধরনের কৌশল যা প্রয়োগ করে শ্রমিকদেরকে শান্ত ও দুর্বল করে রাখা হয়, যদি শ্রমিকগন অধিক সাফল্য অর্জন করেন তবে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে। আর শ্রমিকদের জনপ্রিয়তা ব্যবস্থাপকদের জন্য হুমকী হয়ে উঠতে পারে। কর্ম ক্ষেত্রে নানা ভাবে পদ সোপান সৃজন করে ব্যাপকভাবে শ্রমিকদের উপর গুন্ডামী করা হয় বসদের পক্ষ থেকে-  এই সমাজে ধনিক লোকেরা বসবাস করে উচু শ্রেনীর লোক হিসাবে- এরা দরিদ্রদের উপর গুন্ডামী করে। এখানে পুরুষ নারীদের উপর এবং বয়স্ক লোকেরা শিশুদের উপর গুন্ডামী করে থাকে। এই ভাবে কর্ম ক্ষেত্রগুলোও সাজানো হয়ে থাকে। উদেশ্য শ্রমিকদের আচার আচরন ও তাদের জীবন যাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করা । তাই ব্যবস্থাপকদের গুন্ডামী এখানকার নিত্য সংগী।

যারা গুন্ডামি করে তারা তাদের চার পাশে কিছু সমর্থক তৈরী করে, এদের জন্য সেই সমর্থক লোকেরা গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকে। সিনিয়র ব্যবস্থাপকগন সকল সময়েই তাদের কিছু অনুচর ও তোষামোদকারী সৃজন করে থাকে এবং সময়মত এদেরকে ব্যবহার করে থাকে। শ্রমিকদের মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখার জন্য এরা বিভক্ত সাংস্কৃতিক চর্চায় লিপ্ত হয়- যা মানুষকে বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায় । গুন্ডামী করার জন্য এটাকে এরা কৌশল হিসাবে ব্যবহার করে থাকে । ভদ্রবেশী গুন্ডারা মানুষের সুক্ষ অনুভূতি নিয়ে খেলা করে আর সময় মত নিজেদের আগ্রাসন চালাতে সেই বিষয় গুলো ব্যবহার করে থাকে। তবে, গুন্ডা চক্র যদি মনে করে তাদের চালাকি শ্রমিকগন বুঝে গেছে, প্রতিরোধ হতে পারে- তবে অবশ্যই পিছু হটবে।

একটি জীবন্ত দুঃস্বপ্নঃ


মাস্তানী প্রায়স ধৈর্যশীল  মানুষকে দুর্বল করে দেয়, তারা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন এবং হতাশ মনে করে এবং এটি স্ট্রেস সম্পর্কিত অসুস্থতা যেমন ক্রমাগত মাথাব্যাথা, ওজন কমানো, আলসার বা কিডনি সমস্যাগুলির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এটা পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ককে নেতিবাচক ভাবে  প্রভাবিত করে:


"বিল ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে ওঠে এবং আমি ভাবলাম  যে এটি কাজের সাথে সম্পর্কিত  কিছু হতে পারে, কিন্তু যখনই আমি তার সাথে এই সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করলাম, তখন তিনি খুব উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। তিনি ওজন হারান এবং সবকিছুতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। শেষ সময়ে ... তিন বছরের জন্য আমাদের বাড়িতে কোন প্রকার হাসি ছিল না। "


যারা গুন্ডামীর শিকার  হচ্ছে তারা প্রায়শই লজ্জিত বোধ করে এবং তারা নিজের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য কিছু করতে চায়, যা তাদেরকে আরও বেশি নিপিড়নের  জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।

গুন্ডামীর স্থান সমূহঃ

প্রথমিক ভাবে যে সকল স্থানে আপনার সাথে মস্তানী করা হয় তখন আপনার অবস্থান হয়ত শক্ত ও হতে পারে। তবে সমস্যা হয় যারা নতুন যোগদান করেন বা যারা পদোন্নতির মাধ্যমে নয়া জায়গায় কাজ করতে যান তাদের জন্য। প্রথম দিকেই বুঝতে পারবেন যে, সব কিছু আগের মত চলছে নাঃ আপনার বস আগের মত আপনার সাথে ব্যবহার করছেন নাঃ আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি আপনার কাজের জন্য প্রায়স সমালোচনা ও নিন্দার শিকার হচ্ছেন। এমন কি কাজের মানের কোন পরিবর্তন না হলে ও আপনাকে নিন্দাবাদের শিকার হতে হচ্ছে। তা হলে ভেবে দেখুন ! আপনি কি মনে করছেন বা যা ঘটছে তা আপনার ভূলের জন্যই হচ্ছে ? ক্রমাগত ভুল ধারার প্রবানতা, অর্থহীন নিন্দাবাদ, অপ্রয়োজনীয় প্রসংশা, আবার অন্য মানুষের সামনে লাগাতর বেইজ্জতি করা ইত্যাদি চলছে। বসগন কোনভাবেই নিজের কোন ত্রুটি শিকার করতে মোটেই প্রস্তুত নন।

একজন অফিসিয়াল (বস) গুন্ডা সকল সকল সময়ই সে তার অবস্থান ঠিক রাখার স্বার্থে যাকে সে হুমকি মনে করবে তাকে ধাবিয়ে রাখার প্রয়াস চালাবেই। সে কাউকেই এমনকি যোগ্যলোক হলে ও তাকে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধার সৃস্টি করবে। সেই যোগ্য লোকটির কোন আইডিয়া বা কাজের স্বীকৃতি দিবে না। বরং পারলে সেই কৃতিত্ব নিজের জন্য প্রচার করবে। চেস্টা করবে তাকে কাজ কমিয়ে দিতে, তার বিরুদ্বে আলোস্যের অভিযোগ আনবে এবং বলে বেড়াবে সেই লোকটির মধ্যে কাজের কোন উদ্যোগই নেই ।

ঠিকে থাকাঃ

কেবল অবজ্ঞা করে মাস্তানী মোকাবিলা করা ঠিক নয়, বরং এই পরিস্থিতিকে ইতিবাচক করার জন্য কাজ করা অতিব গুরুত্বপূর্ন, তবে কাজ সহজ সাধ্য মনে হলেও তা বেশ কস্টকর ব্যাপার। আপনি আপনার নিজের অনুভূতি ও আচার আচরনের প্রতি দায়িত্বশীল হোন, নিজের কাজের প্রতি মনযোগী হবার জন্য আবেগ বা অনুভূতিকে বেশী গুরুত্ব দিবেন না । হয়ত মনে হবে আপনি হেরে যাচ্ছেন, তবু এটিকে এখন উপভোগ করুন। বিষয় গুলো বন্দ্বুদের সাথে আলোচনা করুন, দেখবেন এদের মধ্যে অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। আত্মরক্ষার কৌশল ও সুন্দর করে কথা বলা শিখুন। এই গুলো আপনাকে ঠিকিয়ে রাখতে সহায়ক হবে।

প্রথমিক কৌশলঃ দৃঢ়ভাবে মৌখিক আক্রমনের জবাব দিন – বলে দিন, ব্যাক্তিগত মাস্তানী বা আক্রমন আপনি কোন ভাবেই মেনে নিবেন না । নিজেকে শান্ত রেখে পরিস্কার ভাষায় যা বলার বলুন, তারা যদি চিতকার করে আপনাকে থামিয়ে দিতে চায়, তবে আবার আপনি নিজের কথা গুলো  উচ্চারন করুন দৃঢ় ভাবে। নিজের কাজ করুন  (নইলে এখান থেকে সরে যান)। যদি নির্দেশনা গুলো অস্পস্ট হয় তবে লিখিত ভাবে দেয়ার জন্য বলতে পারেন । হয়ত তখন আপনার কাজ করতে আরো সহজ হবে । সেই লিখিত নির্দেশনা সাক্ষ্য হিসাবে দরকার হলে ব্যবহার করা যাবে । নিজের বিচার শক্তি ও সক্ষমতার উপর আস্তা রাখুন । চেস্টা করুন দল বেধে থাকতে আর গুন্ডাদেরকে এরিয়ে চলুন !

আইনী ব্যবস্থাঃ

সত্যিকার অর্থে  কর্ম ক্ষেত্রে মাস্তানী প্রতিরোধের জন্য তেমন কোন আইনগত সুরক্ষা নেই । নিয়োগ কর্তাদের দায়িত্ব হলো নিয়োগকৃত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা । কিছু আইন আছে যা শ্রমিকদেরকে গুন্ডামী বা মাস্তানী থেকে হেফাজত করার জন্য কাজে লাগানো যায়। আইনে আছে পরিদর্শকগন কর্মস্থল পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। তারা নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর পরিদর্শন করবেন । যে সকল গুন্ডামী যৌনতা, জাতিগত এবং প্রতিবন্দ্বীতার সাথে জড়িত সেই সকল বিষয়ে সেক্স বৈষম্য আইন ১৯৭৫, রেস রিলেশনস অ্যাক্ট ১৯৭৬, বা ডিসএবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট ১৯৯৫ এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারা যায়। ইউনিয়নগুলির নিকট মাস্তানীর  মোকাবিলা করার নীতি থাকা উচিত, এটি পরিষ্কার করা যে এটি সহ্য করা হবে না। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের মাধ্যমে  সঠিক কারণে দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে । সে বিষয়ে অভিযোগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত। স্বাধীন পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। মাস্তানী   কিন্তু কোন বিচক্ষণ আচরণ নয়। যা সহজেই সঠিক নীতিমালার দ্বারা নির্মূল করা যেতে পারে, তবে এই পদ্ধতিগুলি সংগঠিত করার জন্য পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে । প্রকৃত ক্ষতি ও সমস্যাগুলির সমাধান করে দেওয়ার জন্য 'কার্যক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা' আইন এবং ইউনিয়নগুলির উপর সবিশেষ দায়িত্ব বর্তায়।

লড়াই সংগ্রামে ফেরা

আপনি আপনার চাকুরীর কর্ম বিবরণটি পরিক্ষা করে দেখুন- কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার সাথে অবিচার করা হচ্ছে। আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার সময়, স্থান এবং তারিখ উল্লেখ করে বিস্তারিত বর্ননা সহ একটি ডাইরী সংরক্ষন করুন । আপনার তোলা অভিযোগ, আপনার দক্ষতা নিয়ে কটাক্ষ সহ সব কিছুর বর্ননা থাকা দরকার। ডাইরীতে লিখে রাখুন আপনার বিরুদ্বে কখন কি কি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । মেমো, নোটিশ, দরখাস্তের কপি ইত্যাদি ও সংরক্ষন করা দরকার। এটা একটি ভালো ধারনা যে, প্রতিটি অভিযোগের ক্ষেত্রে লিখিত দরখাস্তের কপি উর্ধতন ব্যবস্থাপকদের নিকট কপি পাঠানো দরকার। যখন যে মিটিং বা সভায় উপস্থিত হবেন সেখানকার সাক্ষী ও জবান বন্দ্বী লিখিত ভাবে রাখবেন। ডাক্তারের সাথে কথা বলুন যে নানা সময়ে আপনার বিরুদ্বে যে অসুস্থ্যতার অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে তা যে সঠিক নয় তা যেন তিনি বলেন। অসুস্থ্যতার সার্টিফিকেট ও মাস্তানের নাম বিবরন সাক্ষীর জন্য খুবই জরুরী বিষয়।

অভিযোগ দায়ের করলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠতে পারে। আপনাকে একজন ঝামেলা সৃজন কারী লোক হিসাবে ব্যবস্থাপকগন চিহ্নিত করতে পারে। একা একা যে কোন দ্বন্দ্বে লিপ্ত হওয়া একাবারেই নিরাপদ নয়। মাস্তানী আসলে কোন একক ব্যাক্তিকে আক্রান্ত করে না । তা প্রায়স অনেক মানুষকেই সমস্যায় ফেলে । তাই আক্রান্ত লোকদের মাঝে একটি ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। দরকার হলে রাজনৈতিক লোকদেরকে ও সংগে রাখা যেতে পারে। কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সমস্যার সমাধান না করে তা এড়িয়ে যাওয়া সমিচীন নয়, সমস্যা দেখে ও নিরব থাকা বা প্রশ্রয় দেয়া অনেক বড় সমস্যার উতপত্তি করতে পারে। সমস্যার সমাধান না করে কেবল লোক বদল করাই যতেস্ট নয় বরং সমস্যার সমাধান করার প্রতি নজর দেয়া উচিত। তাই বলা যায়- “ প্রকৃত সমস্যার সমাধান না করে কেবল লোক বদল করলে সমস্যা  চিরকাল একেই রূপ থেকে যাবে”।

ধীরে শান্তভাবে নিজের সহ কর্মীদের মাঝে সংহতি ও ঐক্য গড়ে তুলুন, তবে সতর্কতা রক্ষা করতে হবে, আপনার নিকট যত তথ্য আছে তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন । সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহন করুনঃ তথ্য প্রচারের জন্য তাদের নোটিশ বোর্ড, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করুন । প্রতিপক্ষের সম্পত্তির হিসাব, ব্যাক্তিগত নোংরা জীবন, চুরি-চামারীর তথ্য সুন্দর ভাবে প্রাচার করুন –সন্তর্পনে। যদি মনে করেন সহযোগীতা দরকার তবে অন্য এলাকার লোক ব্যবহার করুন ।  তবে নিজেদের ঐক্য শক্তিশালী রাখাতে হবে।

শেষ অবলম্বনঃ

শেষ অবলম্বন হিসাবে আপনি  পদত্যাগ করতে পারেন এবং এমন একটি শিল্প ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে আপনাকে অসহায় অবস্থার কারণে ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দুই বছর চাকুরী করতে হবে এবং 'গঠনমূলক বরখাস্ত' দাবি করতে পারার জন্য ক্ষমতা অপব্যবহারের একটি বিস্তারিত লগের প্রয়োজন হবে। ট্রাইবুনালগুলি বিশেষভাবে অপব্যবহারের রেকর্ডকৃত ঘটনা পরীক্ষা করবে কিন্তু সঠিক পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা তাদের প্রধান আগ্রহের মধ্যে থাকবে। একটি গ্রহণযোগ্য রেফারেন্সের জন্য একটি অনুরোধ  দাবিতে তৈরি করা যেতে পারে। ক্ষতিপূরণ পরিবর্তিত হয়। ইউনিয়নের দ্বারা জিতে যাওয়া আউট-কোর্টের নিষ্পত্তিতে ১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডের একজন সমাজ কর্মী দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য অবসর গ্রহণের কারনে ৬৬,০০০ পাউন্ড পেয়েছিলেন, যার কারন ছিল  তার উচ্চতর  ব্যবস্থাপক কৃর্তৃক মাস্তানী । ১৯৯৭ সালে নর্থ ইস্ট থেমস কমিউনিটি কেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট থেকে একজন নার্সিং ম্যানেজারের অব্যবস্থাপনার কারনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে ৫,০০০ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল।


মাস্তানীর বিরুদ্ধে একটি সংগঠন কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতনতা সৃস্টি করে সমাজে প্রভাব ফেলতে পারে এবং যা কর্মস্থলে ব্যাপক আস্থা ও সংহতি গড়ে তুলতে সহায়তা করে, একজন ডাক কর্মী বব যেমন  ব্যাখ্যা করেন এই ভাবে:


"ম্যানেজমেন্ট ক্রমাগত আমাদের কাছ থেকে তথ্য পেতে চেষ্টা করছে, যাতে তারা উতপাদন ও মুনাফা বাড়িয়ে তুলতে পারে কিন্তু আমরা তাদের  চেস্টাকে ধ্বংস করার জন্য যা করতে পারি- তা আমরা করি। এটি আমাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার ফল যা একদিন আমাদের কর্ম জীবনকে রূপান্তরিত করবে, আমাদের হাতে একটি চলমান বিপ্লবী প্রচারাভিযান চলছে। আমরা ইউনিয়ন আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বসবাদের  বিরোদ্বে কাজ করছি। তবে,  আমরা সকলেই  যে একেই ভাবে কাজ করছি তা কিন্তু নয়; কিন্তু মৌলিকভাবে মালিক পক্ষের বিপরীতে আমাদের অসহযোগী মনোভাব সবসময়, সব জায়গায় বিরাজমান আছে। "


Share Tweet Send
0 Comments
Loading...
You've successfully subscribed to Bangladesh ASF
Great! Next, complete checkout for full access to Bangladesh ASF
Welcome back! You've successfully signed in
Success! Your account is fully activated, you now have access to all content.