বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের মৌলিক নীতিমালা (আই ডব্লিউ এ)
(জানুয়ারী-২০২০ ইংরেজীতে হালনাগাদ করা হয়েছে)
১। ভূমিকা
মানব জাতির ইতিহাস হলো শোষক ও শোষিতের ইতিহাস, এখন তা পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রে আগ্রাসী কর্মকান্ডের কারনে তা মানব জীবনের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুঁজিবাদের ব্যবস্থাপক ও রাজনৈতিক নেতাগন তাঁদের নিজস্ব স্বার্থে সকল কিছু ব্যবহার করছে। আমরা যদি এদের বিরুদ্বে রুখে দাড়াঁতে চাই, আমরা যদি আমাদের নিজস্ব স্বার্থে এগিয়ে নিতে চাই, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চাই তবে চলমান শ্রমিক শ্রেনীর আন্দোলন সংগ্রামকে সুসংগঠিত করার আর কোন বিকল্প নেই ।
আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে, আমাদেরকে এবং বিপ্লবী শ্রমিকদেরকে সত্যিকার অর্থে লড়াই সংগ্রামের জন্য স্ব স্ব দেশে এবং বিশ্ব জোড়ে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। আমাদের সংগঠনকে এমন যোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেন পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রশক্তিকে সহজে পরাজিত করা যায় ।
এমন একটি আন্দোলন গড়ে তোলাতে চাই, যা কোন ভাবে পুঁজি ও শ্রমের মাঝে কোন প্রকার সংহতি স্বীকার করবে না। আন্তর্জাতিক শান্তির নামে পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্র যন্তকে মেনে নেয়া হবে না । এই আন্দোলন আবার প্রচলিত ধারার শ্লোগান যেমন রাষ্ট্র বা প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বকে ও সমাজে ডেকে আনবে না । আমাদের সামগ্রীক লক্ষ্যই হবে মানুষের সত্যিকার স্বাধীনতা ও সকল মানুষের চূড়ান্ত মুক্তি ।
পুঁজিবাদ ও রাজনৈতিক শক্তির সকল প্রকার অপরাধের বিপরীতে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সত্যিকার একটি শ্রমিক শ্রেনীর সংস্থা গড়ে তোলা দরকার। যেখানে সকলই নিজেদের মুক্তি ও সকল মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে যাবেন । কর্মজীবী-শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষ নিজেদেরকে উৎপাদনের মুল শক্তি হিসাবে প্রদর্শন করতে পারবেন । তাঁরা জমি ও কারখানা সহ সকল অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রতিস্টান সমূহের দায়িত্ব গ্রহন করে উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর উন্নত করে সামাজিক শান্তি ও সমৃদ্বির পথকে সুগম করবেন ।
সামগ্রীক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শ্রমিক শ্রেনীর উচিৎ হবে বিপ্লবী কর্মকান্ডকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করা। আমারা আমাদের সাধ্যমত সকল লড়াই সংগ্রামে পরস্পরের সাথে থাকতে অংগীকারাবদ্ব । একেই সাথে যে যে ক্ষেত্রে সম্ভব সেখানে গবেষনার মাধ্যমে সামাজিক পরিস্থিতি বুঝার ও অন্যান্য আন্দোলন সংগ্রামের প্রবনতা সমূহে বিশ্লেষণ করে লড়াই সংগ্রামকে কন্ঠক মুক্ত রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখা হবে। আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রব্যবস্থার সকল মন্দ্ব উপসর্গের বিরুদ্বে সর্বদা কাজ করে যাব। তবে স্থান , কাল, পাত্র বুঝে প্রতিটি কর্মসূচী প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়নে চেষ্টা করা হবে।
২। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের নীতিমালা
১। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের ভিত্তি হলো, শ্রেনী সংগ্রাম, এর লক্ষ্য হলো সকল অর্থনৈতিক সংস্থা গুলোকে করায়ত্ব করে শ্রমিক শ্রেনীর উপর চেপে বসা দুটি জোয়াল ছোড়ে ফেলা। এর একটি হলো রাষ্ট্র আর অন্যটি হলো পুঁজিবাদ। বিপ্লবী ইউনিয়নের লক্ষ্য হলো মুক্ত সাম্যবাদকে বিপ্লবী আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজে কায়েম করা । এই ধরনের লক্ষ্য কেবল শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরাই অর্জন করতে সক্ষম । বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ মনে করে, শ্রমিক শ্রেনীরই কেবল ক্ষমতা আছে কোন কিছু সৃজন করার, সম্পদ তৈরী করা, তাদেরই কেবল ক্ষমতা আছে তৃনমূল থেকে আধুনিক শ্রমিক পার্টির বিরুধী শক্তির বিকাশ ঘটানোর। বিপ্লবী ইউনিয়ন ঘোষনা করছে প্রচলিত শ্রমিক পার্টি গুলো বর্তমান অর্থনৈতিক সংস্থা গুলোর কোন পরিবর্তন করতে পারবে না ।
২। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল প্রকার একচাটিয়াবাদের পরম শত্রু, এর লক্ষ্য হলো প্রচলিত অর্থনৈতিক , সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর রূপান্ত করে সকল কারখানা ও কৃষি খামার গুলোতে শ্রমিক পরিষদ গঠন করে কোন প্রকার কর্তৃপক্ষ বা পদ সোপান ছাড়াই পরিচালনা করবে। এই ব্যবস্থা হবে রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকল্প । বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ সকল প্রকার অর্থনৈতিক উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে এমন ব্যবস্থা চালু করা হবে যেখানে থাকবে না মানুষের উপর মানুষ প্রভুত্ব। ফলে, বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের মিশন হবে রাজনৈতিক শক্তি ও রাষ্ট্র শক্তিকে জয় করা – এই গুলো হলো বর্তমান নষ্ট সমাজের প্রান শক্তি। তার বিনাশ করতেই হবে। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ বর্তমান সমাজে প্রচলিত একচেটিয়া ক্ষমতার দাপট নির্মূল করতে সম্পদের একচেটিয়াবাদের বিলয় ঘটাবে; রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সরাসরি রূপেই হোক বা ছদ্ম বেশেই হোক কোন তাঁর অস্থিত্ব মেনে নেয়া হবে না । এটা মানুষের স্বাধীনতাকে নশ্ত করে দেয়। তৈরী করে একটি সুবিধাবাদি শ্রেনী এবং একচেটিয়াবাদের পরিবেশ। তাই রাষ্ট্র মানুষের কল্যান করতে পারে না ।
৩। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ দুই স্তরে কাজ করে থাকেঃ শ্রমিক শ্রেনীর দৈনিন্দিন লড়াই সংগ্রামের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বুদ্বিবৃত্তিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। তাদেরকে এমন ভাবে প্রস্তুত করা হবে যেন, যখন সময় আসবে অর্থাৎ বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি উপাদান হাতের মুটয় আসবে - তখন যেন শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরা উৎপাদন ও বন্ঠন প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। রাস্ট্রের আদেশে শিল্পায়ন, উৎপাদন, বন্ঠন পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়নের মত কোন পদক্ষেপ বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ মেনে নিবে না । উক্ত সমস্ত বিষয়াদি শ্রমিক শ্রেনী নিজেরাই স্বহস্থে সম্পাদন করবে। তা হোক ব্যবহারিক বা বুদ্বিবৃত্তিক। কারখানা ও খামারের সামগ্রীক ব্যবস্থাপনা সহ সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম সকল মানুষের কল্যানে সম্পাদন করবে। এই ক্ষেত্রে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পন্থা অনুসরন করা হবে।
৪। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ সেই সকল প্রবনতা সম্পন্ন সংগঠন সমূহের বিরুধিতা করে যাদের মাঝে রাস্ট্রীয় কেন্দ্রীকতার প্রতি ঝুঁক রয়েছে। রাস্ট্র, এবং চার্চ উভয়ই মানুষের মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীনতার বিপরীত। কর্তৃত্ববাদ হলো এদের মৌলিক উপাদান। এই সংস্থা গুলো মানুষের চিন্তার স্বাধীনতাকে হরন করে । পুঁজিবাদ হলো এমন একটি কৃত্রিম ব্যবস্থা যা মানুষের মাঝে উঁচু নিচু শ্রেনীর সৃজন করে থাকে । সমাজের সকল কর্তৃত্ব কতিপয় মানুষে নিকট দিয়ে দেয় । যারা সমজের সকল কিছুই নিয়ন্ত্রন করে থাকে । ফলে একজন ব্যাক্তি সেখানে একটি রুবটে পরিনত হয় । যেহেতু সামগ্রীক ব্যবস্থাপনা চলে খুবই শক্ত শৃংখলার ভেতর দিয়ে, সেহেতু ব্যাক্তি হিসাবে সেখানে ভূমিকা রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে । ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ একটি বৃহৎ ফেডারেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার প্রতিস্থাপক হিসাবে নিজেকে বিজয়ী করা সম্ভব। এই ফেডারেশন গড়ে উঠবে তৃনমূল থেকে – সকলের থাকবে একেই চিন্তা ভাবনা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ফলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পুঁজিবাদের বিরুদ্বে বিজয় অর্জন করা সহজতর হবে।
৫। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ প্রচলিত সকল প্রকার পার্লিয়ামেন্টারী পদ্বতী ও আইন প্রনয়ন সংস্থার বিরুধী; কেননা বর্তমান অবাধ নির্বাচনপ্রক্রিয়ার নামে যে প্রহসন হয় তাতে সত্যিকার ভাবে মানুষের মতামতে প্রতিফলন হয় না এবং সামাজিক যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান আছে তা চাপা দেয়া হয়। প্রচলিত পার্লিয়ামেন্টারী পদ্বতীর লক্ষ্যই হলো মানুষের সামনে সামাজিক ন্যায় বিচারে মিথ্যা আশ্বাস তোলে ধরে ধনিক শ্রেনীর স্বার্থ ও শাসন বজায় রাখা ।
৬। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ প্রচলিত সকল রাজনৈতিক দল ও জাতীয়তাবাদি জোটের প্রবল বিরুধী । এই সকল বিষয় নিজেদের খেয়াল খুশিমত তৈরী করা হয়েছে। আধুনিক রাস্ট্র ব্যবস্থায় জাতীয়তাবাদের মত বিষয়াদি ধর্মের মত উচ্চারিত হচ্ছে। আর এসব করা হচ্ছে সম্পদশালী চক্রের স্বার্থে । আমরা মনে করি সামাজিক ব্যবধান কেবল অর্থনৈতিক কারনেই সৃজন হয়ে থাকে। হোক তা আঞ্চলিক বা জাতিগত। এসবের ফলেই পদ সোপান, সুযোগ সুবিধা বা অন্যান্য নিপিড়ন মূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমন কি লিংগগত, জাতিগত বা অন্যান্য ব্যবধান সমূহ ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। কেবল সাম্যের অর্থনীতি সামাজিক সংহতি এবং আত্মসিদ্বান্ত গ্রহনের সুযোগ তৈরী হলেই সকল প্রকার বৈষম্য দূরীভূত হতে পারে।
৭। অভিন্ন কারণ হিসাবে, বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ সামরিকবাদ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ যুদ্ধবিরোধী প্রচার এবং স্থায়ী সেনাবাহিনীকে প্রতিস্থাপনের পক্ষে, যা শ্রমিকদের মিলিশিয়াদের দ্বারা পুঁজিবাদের সেবাদানে প্রতিবিপ্লবের একমাত্র হাতিয়ার, যা বিপ্লবকালে শ্রমিকদের ইউনিয়ন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে; এটি একই সাথে দাবি করে যে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাঁচামাল এবং পণ্য বর্জন এবং নিষেধাজ্ঞার এমন একটি দেশ ব্যতীত যেখানে শ্রমিকরা সামাজিক বিপ্লবের মাঝে রয়েছেন, সেই ক্ষেত্রে আমাদের তাদের বিপ্লব রক্ষায় সহায়তা করা উচিত। পরিশেষে, বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ প্রতিরোধমূলক এবং বিপ্লবী সাধারণ ধর্মঘটকে যুদ্ধ ও সামরিকবাদের বিরোধিতা করার উপায় হিসাবে সমর্থন করে।
৮। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ এমন একটি উত্পাদনের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয় যা পরিবেশের ক্ষতি করে না এবং এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য সংস্থান এবং যখনই সম্ভব, পুনর্নবীকরণযোগ্য বিকল্পের ব্যবহারকে হ্রাস করার চেষ্টা করে। এটি বর্তমান সময়ের পরিবেশ সঙ্কটের উত্স হিসাবে অজ্ঞতা স্বীকার করে না, তবে উপার্জনের তৃষ্ণার্ত। পুঁজিবাদী উত্পাদন সবসময় বেঁচে থাকার জন্য আরও আয় অর্জনের জন্য ব্যয়কে হ্রাস করার চেষ্টা করে এবং এটি পরিবেশ রক্ষা করতে অক্ষম। সংক্ষেপে বলা যায়, বিশ্ব ঋণ সংকট বাণিজ্যিক ফসল তোলার পক্ষে জীবন-জীবিকা নির্বাহের কৃষকের ক্ষতির দিকে ঝুঁকছে। এই সত্যটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন, অনাহার এবং রোগের ধ্বংস সাধন করেছে। আমাদের গ্রহকে বাঁচানোর লড়াই এবং পুঁজিবাদকে ধ্বংস করার লড়াই অবশ্যই যৌথ হওয়া উচিত বা উভয়ই ব্যর্থ হবে।
৯. বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ নিজেকে সরাসরি কর্মের পদ্ধতির সমর্থক হিসাবে দৃঢ়তা দেয় এবং তার নিজস্ব লক্ষ্যগুলির সাথে বিরোধী নয় এমন সকল সংগ্রামকে সহায়তা এবং উত্সাহ দেয়। এর সংগ্রামের পদ্ধতিগুলি হল ধর্মঘট, বর্জন, নাশকতা ইত্যাদি প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ সাধারণ ধর্মঘটে তার গভীর অভিব্যক্তিতে পৌঁছে যায়, যা বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, সামাজিক বিপ্লবের সূচনাও হওয়া উচিত।
১০. যদিও বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ সরকারের ধরণের নির্বিশেষে সকল সংঘবদ্ধ সহিংসতার বিরোধিতা করে, এটি বুঝতে পেরেছিল যে আজকের পুঁজিবাদ এবং কালকের অবাধ কমিউনিজমের মধ্যে নির্ধারিত লড়াইয়ের সময় চরম সহিংস সংঘাত হবে। ফলস্বরূপ, এটি বৈধ হিসাবে স্বীকৃত যে সংঘর্ষের সময় শাসক শ্রেণি দ্বারা ব্যবহৃত হিংস্র পদ্ধতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার একটি উপায় হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে যা বিপ্লবী জনগোষ্ঠী জমি ও উত্পাদন উপকরণ বাজেয়াপ্ত করতে পরিচালিত করে। যেহেতু শ্রমিকদের বিপ্লবী অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বাজেয়াপ্তকরণ কেবলমাত্র কার্যকর করা এবং একটি সফল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, বিপ্লবকে প্রতিরক্ষা করাও এই অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির কাজ হতে হবে, সামরিক বা আধাসামরিক বাহিনীর বিকাশ নয়। তাদের স্বাধীনভাবে গড়ে উঠা সুরক্ষা ব্যবস্থা।
১১. কেবলমাত্র শ্রমিক শ্রেণির অর্থনৈতিক ও বিপ্লবী সংগঠনগুলিতেই স্বাধীনতাবাদী সাম্যবাদের ভিত্তিতে সমাজকে পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মুক্ত সৃজনশীল শক্তি আনতে সক্ষম শক্তি রয়েছে।
৩। আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম
আন্তর্জাতিক বিপ্লবী ইউনিয়নবাদী সংগঠনগুলিকে একত্রিত করে যে আন্তর্জাতিক সংগ্রাম ও সংহতির আন্তর্জাতিক বন্ধন, তাকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন (আই ডাব্লিউ এ) বলা হয়।
৪। আইডব্লিউ এ' র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ
আইডাব্লুএর নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য রয়েছে:
লিবার্তেরিয়ান কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলকে একবারে বিলয় করার জন্য দুনিয়ার সকল দেশেই বিপ্লবী সংগ্রামকে সংগঠিত করে প্রয়োজনীয় চাপ দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করা ।
অর্থনৈতিক ইউনিয়নবাদী সংগঠনগুলিকে একটি জাতীয় এবং শিল্প ভিত্তি প্রদান এবং যেখানে ইতিমধ্যে বিদ্যমান রয়েছে, সেই সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করা যা পুঁজিবাদ এবং রাস্ট্র ধ্বংসের জন্য লড়াইয়ের করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে ।
অর্থনৈতিক ইউনিয়নবাদী সংগঠনগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দলের অনুপ্রবেশ রোধ করতে হবে এবং ইউনিয়নগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিটি প্রয়াসকে দৃঢ়তার সাথে রুখে দিতে হবে ।
যেহেতু পরিস্থিতি এটির দাবি করে, সাধারণ আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং পরিচালনা করার লক্ষ্যে এবং শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থে অন্যান্য সর্বহারা, ইউনিয়ন এবং বিপ্লবী সংগঠনের সাথে অস্থায়ী জোট, যা ক), খ) এবং গ) এর সাথে বিরোধী নয়, এমন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা । এই জাতীয় জোট কখনই রাজনৈতিক দলগুলির সাথে ঐক্যবদ্ব হওয়া উচিত নয়, যেমন এমন সংস্থার সাথে থাকতে হবে যা রাষ্ট্রকে সামাজিক সংগঠনের ব্যবস্থা হিসাবে গ্রহণ করে। বিপ্লবী ইউনিয়নবাদ শ্রেণীর সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করে যা রাষ্ট্রীয় কর্পোরেট প্রকল্পগুলির আওতায় আয়োজিত কমিটিগুলিতে অংশ নেওয়া (উদাহরণস্বরূপ, উদ্যোগী কমিটির ইউনিয়ন নির্বাচনে) এবং ভর্তুকি, পেইড ইউনিয়ন পেশাদারদের এবং অ্যানার্কো-সিন্ডিকালিজমকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এমন অন্যান্য কর্মসূচীকে প্রত্যাখ্যান করেতে হবে এবং তাঁদের সাথে সকল প্রকার সহযোগীতা ও বন্দ্ব রাখতে হবে।
সামাজিক বিপ্লবের জন্য নিবেদিত বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে সমস্ত সরকারের নির্বিচারে সহিংসতার মুখোমুখি হওয়া এবং লড়াই করা।
এক দেশে বা বেশ কয়েকটি দেশে আন্দোলনকে শক্তিশালী ও বিকাশের জন্য বিশ্ব সর্বহারা শ্রেণীর উদ্বেগের সমস্ত সমস্যা যাচাই করা, যা শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার এবং নতুন বিজয় রক্ষা করতে বা মুক্তি পেতে বিপ্লবকে নিজেই সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
শ্রমজীবী শ্রেণীর প্রকাশ্য বা গোপন শত্রুদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক লড়াই বা সমালোচনামূলক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সর্বহারা শ্রেণীর জাতীয় অর্থনৈতিক সংগঠনের হাতে সংগ্রামের নেতৃত্ব যে প্রতিটি দেশে সংগ্রামের নেতৃত্ব রয়েছে সেই প্রতিটি দেশে শ্রমজীবী আন্দোলনগুলিকে নৈতিক ও বৈষয়িক সহায়তা প্রদান করা।
আন্তর্জাতিক কোনও দেশের ইউনিয়ন সম্পর্কিত ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে কেবল তখনই যখন তার দেশের অনুমোদিত সংস্থা এটির জন্য অনুরোধ করে বা যখন অনুমোদিত আন্তর্জাতিকের সাধারণ নীতিগুলি লঙ্ঘন করে।
৫। অধিভুক্তির শর্তাদি
নিম্নলিখিতগুলি শর্তাবলী পুরন সাপেক্ষে আইডব্লিউএ-এর সাথে সেকশন হিসাবে অনুমোদিত হতে পারে:
- জাতীয় বিপ্লবী সিন্ডিকালবাদী সংস্থা যা অন্য কোনও আন্তর্জাতিকের অন্তর্গত নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশে একটি বিভাগ থাকবে। অনুমোদিত বিভাগগুলিকে আইডাব্লুএর মূলনীতি, কৌশল এবং লক্ষ্যগুলি অনুমোদন করতে হবে এবং এর সংবিধি ও নীতিমালার একটি অনুলিপি সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। আইডাব্লুএর আন্তর্জাতিক সচিবালয় অনুমোদিত বা যোগাযোগের উত্স সম্পর্কে বিভাগকে অবহিত করবে যা অনুমোদিত হতে আবেদন করা হয়েছে।
- বিপ্লবী সিন্ডিকালদের সংখ্যালঘুরা অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের আন্তর্জাতিকের সাথে যুক্ত অন্যান্য জাতীয় সংস্থার ভিতরে সংগঠিত হয়।
- ইউনিয়ন সংগঠন, কারুশিল্প, শিল্প বা সাধারণ যা স্বাধীন বা জাতীয় সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্কিত যা আইডব্লিউএ-র অন্তর্ভুক্ত নয়, যা আইডাব্লুএর নীতি ও লক্ষ্যগুলির ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে।
- বিপ্লবী ইউনিয়নবাদী প্রচারের প্রতিটি সংগঠন যা আইডাব্লুএর নীতি ও লক্ষ্যগুলির ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে এবং এমন একটি দেশে কাজ করে যেখানে আইডব্লিউএ'র সাথে সম্পর্কিত কোনও জাতীয় সংস্থা নেই।
যেহেতু আইডব্লিউএ কেবলমাত্র আইনগত বা অবৈধ বিভাগগুলি নিয়ে থাকে, যার সাথে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে, কেবলমাত্র সেই গোষ্ঠীগুলি যেগুলি আইডব্লিউএর ধারা হিসাবে স্বীকৃত হতে পারে সেগুলি হ'ল সেই নির্বাসিত গোষ্ঠী যারা আইডব্লিউএ-সচিবালয়ের স্পষ্ট প্রমাণ দিতে পারে যে তারা খাঁটি প্রতিনিধি সংগঠনগুলি যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে কাজ করে এবং কাজ করে।
যে কোনও ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের জন্য একটি মাত্র বিভাগ থাকতে সক্ষম হবে।
নিম্নলিখিত ধরণের আচরণের কারণে অকার্যকরতা বা স্থগিতাদেশ হতে পারে:
- আইডাব্লুএর মূলনীতি, কৌশল এবং লক্ষ্যগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ।
- অনুমোদিত ফি প্রদানের ব্যর্থতা। কোনও বিভাগ যদি এক বছরের জন্য তার ফি প্রদান করতে ব্যর্থ হয়, তবে কংগ্রেসকে বিভাগগুলির অযোগ্যতা বিবেচনা করতে হবে।
- যদি কোনও বিভাগ আন্তর্জাতিক সভা এবং কংগ্রেসে উপস্থিত না থাকে এবং আইডাব্লুএর সচিবালয়ের বা বিভাগগুলির দ্বারা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই যোগাযোগের জন্য অনুরোধের জবাব দেয় না।
আইলিডব্লিউএ কংগ্রেসে আফিলিয়েশন এবং ডিসএফিলিটি হয়। কংগ্রেসদের মধ্যে পিরিয়ডে একটি বিভাগ আইডাব্লুএ থেকে নিজেকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
পূর্ববর্তী মোশনের উপর ভিত্তি করে প্লেনারি বা কংগ্রেসের সময় বা কোনও প্লেনারি বা কংগ্রেস সম্মত হলে গণভোটের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ গৃহিত হতে পারে।
সংবিধি মেনে চলার কারণে বা কংগ্রেসের চুক্তিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা আইডাব্লুএর আগ্রহের কারণে একটি বিভাগ স্থগিত করা যেতে পারে। বিভাগের একটি মোশন এবং সিদ্ধান্ত দ্বারা অনুমোদিত করা।
কমিশন কর্তৃক তদন্তের অপেক্ষায় কোনও বিভাগ এখনও রয়ে গেছে কিনা তা নিয়ে বিভক্তি বা বিভ্রান্তির কারণে সদস্যতা স্থগিত হতে পারে।
যদি কোনও বিভাগ ভাল অবস্থানে না থাকে (এক বছরের জন্য তার পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়), তবে কংগ্রেস এটি নিষ্ক্রিয় না করার সিদ্ধান্ত নিলে, এই বিভাগটি স্থগিত করা হতে পারে।
সাসপেনশনের অর্থ এই অংশটির কংগ্রেস, প্লেনারি বা রেফারেন্ডায় ভোটদানের অধিকার নেই বা মোশন জমা দেওয়ার অধিকারও নেই।
এটি ডাব্লুএইএর বন্ধুরা যেমন নথিপত্র গ্রহণ, সমস্ত কংগ্রেসে অংশ নিতে এবং মতামত জানাতে একই অধিকার বজায় রাখে।
কোনও বিভাগ যদি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকে, তবে কংগ্রেস তার গতিবিধি বন্ধুর উপর তার অবস্থানকে বন্ধু হিসাবে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৬। আন্তর্জাতিক কংগ্রেস
আইডাব্লুএর আন্তর্জাতিক কংগ্রেস প্রতি তৃতীয় বছর অনুষ্ঠিত হয়।
সচিবালয় কংগ্রেসের আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে কংগ্রেসকে মোকাবেলা করার জন্য বিষয়গুলি বা পরামর্শের জন্য বিভাগগুলিকে জিজ্ঞাসা করবে। এরপরে সচিবালয় এজেন্ডাটি পেশ করবে, যা উপস্থাপিত মোশন গুলির সাথে একত্রে কংগ্রেস শুরুর কমপক্ষে ছয় মাস পূর্বে অনুমোদিত সংস্থাগুলিতে প্রেরণ করা হবে। প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ বা কংগ্রেস রেকর্ড করা হয় এবং মিনিটস গুলি যথাসম্ভব বিশ্বস্ততার সাথে উত্পাদিত হয়। মিনিটস গুলি বিভাগগুলির অনুমোদনের সাপেক্ষে কার্যকরী করা হয়।
আন্তর্জাতিক কংগ্রেস কর্তৃক গৃহীত চুক্তি ও প্রস্তাবগুলি জাতীয় কংগ্রেসের একটি প্রস্তাব দ্বারা বা গণভোটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের চুক্তিগুলি প্রত্যাখ্যান করা ব্যতীত সমস্ত অনুমোদিত সংস্থার জন্য মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
কমপক্ষে তিনটি জাতীয় অনুমোদিত সংস্থার অনুরোধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সমস্ত বিভাগের মধ্যে একটি সাধারণ গণভোট দ্বারা সংশোধনের জন্য জমা দেওয়া যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক রেফারেন্ডাম এবং কংগ্রেসগুলিতে, প্রতিটি বিভাগের একটি ভোট রয়েছে, এবং ভোটার দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে সর্বসম্মত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৭। আন্তর্জাতিক স্থানান্তর
আইডব্লিউএ-এর সাথে অনুমোদিত এমন সংস্থার প্রতিটি সদস্য যা তার সমস্ত অনুমোদিত ফি প্রদান করেছে, তবে যে দেশে তিনি অধিভুক্ত হয়েছেন তার ব্যতীত অন্য কোন দেশে বাস করেন, তার আগমনের এক মাসেরও বেশি পরে উচিত হবে না আইডাব্লুএর সাথে সম্পর্কিত জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় তার স্থানান্তর। এই স্থানান্তরটি প্রবেশের নিবন্ধীকরণের অবদান ছাড়াই উল্লিখিত জাতীয় সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
বাধ্যতামূলকভাবে বিশাল নির্বাসনের ক্ষেত্রে, আইডব্লিউএ দ্বারা স্বীকৃত কোনও নির্বাসিত সংস্থার সাথে যদি কোনও অনুষঙ্গ বিদ্যমান থাকে তবে অনুমোদিততা হবে স্বপ্রনুদিত।
৮। সচিবালয়
আইডাব্লুএর আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় সাধন করা, সমস্ত দেশে প্রচার ও সংগ্রাম সম্পর্কিত সঠিক তথ্য অর্জন এবং সংগঠিত করা, আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের রেজুলেশনগুলি সর্বোত্তম পদ্ধতিতে কার্যকর করা এবং আইডব্লিউএর সমস্ত কাজের যত্ন নেওয়া, এক বা একাধিক ধারা থেকে কমপক্ষে তিন জনকে নিয়ে সচিবালয় নির্বাচিত হয়। সেক্রেটারিয়েট অধিভুক্ত বিভাগ (গুলি) কংগ্রেস বা আন্তর্জাতিক গণভোট দ্বারা নির্বাচিত (বা হয়)। সচিবালয় সাধারণত একটি বিভাগ দ্বারা অনুষ্ঠিত হয় তবে এই কাজটি ভাগ করা যেতে পারে। সেক্রেটারি জেনারেল, কোষাধ্যক্ষ এবং অন্য যে কোনও সদস্য সচিবালয় অধিবেশনকারীরা বেছে নেবেন। সচিবালয়ের সদস্যগণ কাজগুলি বিতরণ করবেন এবং তাদের মধ্যে কাজ করবেন। তারা অন্যান্য বিভাগগুলিতে কিছু কাজও অর্পণ করতে পারেন।
রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যরা আইডব্লিউএতে কোনও দায়িত্বশীল পদে থাকতে পারে না।
এক নিয়মিত কংগ্রেস থেকে পরের সময়কালের জন্য উপরে বর্ণিত সচিবালয় নির্বাচিত হয়। একই বিভাগ (গুলি) কেবলমাত্র দুটি পদের টানা নিয়মিত পরিবেশন করা উচিত। সচিবালয়ের অধিবেশনগুলি (গুলি) ঘোরানো উচিত। সচিবালয় কোনও বিভাগে ফিরে আসতে পারে যা কিছু আগে আবর্তনের পরে কেবল এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
অসাধারণ পরিস্থিতিগুলির ক্ষেত্রে যেখানে কংগ্রেস নতুন সচিবালয় নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই একমত হতে হবে।
সচিবালয় এর আদেশ কার্যকর করার জন্য বেতন বা কোনও ব্যক্তিগত অর্থ গ্রহণ করবে না।
সচিবালয় আইডাব্লুএকে পর্যায়ক্রমিক আর্থিক প্রতিবেদন সরবরাহ করবে। এটি সমস্ত বিভাগ এবং বন্ধুদের লিখিত যোগাযোগ বিতরণের জন্য এবং এর যথাযথ রেকর্ড রাখার জন্য দায়ী। এটি অবশ্যই কংগ্রেস এবং প্লেনারিগুলির মধ্যে সময়কালে এর ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন তৈরি করে। কংগ্রেস এবং প্লেনারির অধিবেশন হওয়ার আগে অনুমোদিত বিভাগগুলি এর সাথে তাদের পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে উপস্থাপন করতে হবে। একই সময়ে, প্রশাসনিক-অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিভাগগুলিতে প্রেরণ করা হবে। কংগ্রেস এবং প্লেনারি একটি কমিশনের নাম রাখবে যা কংগ্রেস এবং প্লেনারির সময় অ্যাকাউন্টগুলির একটি পরিদর্শন পরিচালনা করবে।
ভাইস সচিবালয়
একজন সহ-সচিবালয় কংগ্রেস বা গণভোটের মাধ্যমেও নির্বাচিত হয়। উপ-সচিবালয় কেবল সচিবালয়ের প্রতিস্থাপন হিসাবে কাজ করার বাধ্যতামূলক, যদি এটি সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়ে যায় বা বিভাগগুলির দ্বারা পুনরায় প্রত্যাহার করে। সচিবালয়ের দ্বারা অর্পিত কাজগুলি না হলে আইডাব্লুএর প্রতিনিধিত্ব করা বা অন্য কোনও কার্য সম্পাদন করা বাধ্যতামূলক নয়।
প্রত্যাহার বা রি কল পদ্বতি
আইডব্লিউএর বিভাগগুলির একটি গণভোটের পরে সচিবালয়কে পুনরায় আহ্বান করা যেতে পারে। গণভোট শুরুর জন্য আইডাব্লুএর কমপক্ষে তিনটি ধারা অবশ্যই একটি প্রস্তাব সমর্থন করবে। তিনটি অনুচ্ছেদে সমর্থিত এই মোশনের উপরে, গণভোটটি অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে এবং বিভাগগুলিতে ভোট দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় থাকতে হবে।
সচিবালয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে গণভোট প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার ক্ষেত্রে (তৃতীয় ধারাটি প্রস্তাবটি সমর্থন করার সময় থেকেই), উপ-সচিবালয়ের এটি করা উচিত।
সচিবালয় পুনরায় বলা হলে, পরবর্তী কংগ্রেস না হওয়া পর্যন্ত উপ-সচিবালয়ের এর ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সহ-সচিবালয়কে সচিবালয় প্রতিস্থাপন করতে হবে।
ক) রাজনৈতিক দমন, গ্রেপ্তার, যুদ্ধ বা অন্যান্য বলপূর্বক ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে যা পজিশন কার্যকর করা অসম্ভব করে তোলে।
এই ক্ষেত্রে সচিবালয়কে পুনরায় প্রত্যাহার করা হয় না, তবে প্রতিস্থাপন করা হয়। যদি এটি সম্ভব হয় এবং সম্ভব হয় তবে সচিবালয় পরবর্তী সময়ে সেই বিভাগে স্থানান্তরিত হতে পারে।
খ) সচিবালয় যদি তিন মাস ধরে সময়ের জন্য কাজ না করে, চিঠিপত্রের জবাব না দেয়, কল বা বুলেটিন তৈরি করে না থাকে বা কংগ্রেস বা প্লেনারিকে যথাযথভাবে আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয়, কারণ বা চুক্তি ছাড়াই এটি স্থগিতের কারণ হতে পারে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে উপ-সচিবালয়ের আইডাব্লুএর যথাযথ কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য সচিবালয়ের কাজগুলি গ্রহণ করা উচিত।
এই দায়িত্বগুলি গ্রহণ করার পরে, উপ-সচিবালয়ের উপরোক্ত বর্ণিত গণভোট প্রক্রিয়া দ্বারা সচিবালয় পুনর্বিবেচনার জন্য বিভাগগুলি এবং গতিতে অবহিত করা উচিত।
৯। আর্থিক সংস্থান
আইডব্লিউএকে তার আন্তর্জাতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং জোরদার করার অনুমতি দেওয়া এবং এর লিখিত প্রচারকে একটি শক্ত ভিত্তি দেওয়া; নিয়মিত বিরতিতে এর পর্যায়ক্রমিক প্রকাশনা প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য; এটি বিভিন্ন দেশে বিপ্লবী সিন্ডিক্যালিজমের জীবনের সমস্ত প্রকাশে অংশ নিতে দেয়; যে দেশগুলিতে আমাদের ধারণাগুলি এবং কৌশলগুলি খুব কম উপস্থাপন করা হয়েছে সেখানে বিপ্লবী সিন্ডিক্যালিজমের ধারণাগুলি প্রচার করতে সক্ষম করার জন্য; এবং, অবশেষে, আইডব্লিউএকে সন্তোষজনকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং তাত্ক্ষণিকভাবে এটির সংহতির জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছে, আইডব্লিউএ-এর সাথে যুক্ত একটি সংস্থার প্রতিটি সদস্যকে আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি ফি হিসাবে এক মার্কিন ডলার পরিমাণ হিসাবে মাসিক প্রদান করতে হবে (১ মার্কিন ডলার) বা জাতীয় মুদ্রায় সমমানের পরিমাণ, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিনিময় মূল্য বিবেচনায় নিয়ে।
যে বিভাগগুলি একটি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাদের জন্য আইডাব্লুএর বাকি অংশগুলির সাথে চুক্তিতে বকেয়াগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি অনুমোদিত বিভাগ তাদের সদস্যদের কাছ থেকে অনুমোদিত ফি গ্রহণের জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতিটি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। আই ডাব্লুএ র কাছে যে বিভাগগুলি এটি করতে চান তাদের সদস্যপদ ও কার্ডটির মুদ্রার জন্য একটি বিশেষ সিল রয়েছে ।
অনুমোদিত বিভাগটি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত অনুমোদিত ফি আইডাব্লুএর কাছে প্রেরণ করবে।
১০। প্রকাশনা
সচিবালয় প্রকাশনার কাজ করে:
একটি প্রকাশনা যা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকাশ করা উচিত। আইডাব্লুএর সাথে যুক্ত বা এর প্রতি সহানুভূতিশীল সংস্থাগুলি দ্বারা প্রকাশিত সমস্ত সংবাদপত্রের আইডব্লিউএ থেকে তথ্যের জন্য, আন্তর্জাতিক সংহতি ও সাধারণ প্রচারের আহ্বান জানাতে তার পৃষ্ঠাগুলিতে একটি বিশেষ স্থান সংরক্ষণ করা বাঞ্ছনীয়।
প্রচার লিফলেট, মূলত যেখানে আমাদের আন্দোলনের কোনও জাতীয় অনুমোদিত সংস্থা নেই।
অন্যান্য সমস্ত প্রকাশনা, সাময়িকী বা অন্যকিছু প্রকাশ করতে, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
Language: Bengali