আমাদের সাথে চল..

কার্ল মাকর্স ১৮৪৮ সালে কমিউনিষ্ট মেনিফেষ্টু রচনা করেন,  স¤প্রতি মূলধারার বিখ্যাত একটি প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ে মেনিফেষ্টু কে একটি মারাত্মক গ্রন্থ হিসাবে উল্লেখ করেছে । মার্কস সেই মহান গ্রন্থে বলেছেন বুর্জোয়া কমিউনিজমকে দেখে প্রচন্ড ভয়ে কেঁপে উঠেছিল । তারা এখন ও সেই ভয়ে ভীত হয়ে কাঁপছেন ।

মার্কস লিখেছেন সামাজিক দ্বন্ধ ও অস্থিরতার কথা । মাকর্স শিল্প ও বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের এক মধ্যর্বতী সময়ে বেচেঁ ছিলেন ।  তিনি তার চার পার্শ্বে দেখেছিলেন বিজ্ঞান কিভাবে মানুষের সামনে নতুন নতুর সম্ভাবনার দোয়ার খোলে দিচ্ছে । তিনি দেখেছিলেন বিজ্ঞান কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে মানুষ যে কত ভাবে উপকৃত হতে পারে । তিনি দেখেছিলেন মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা মূলত বিজ্ঞানেই নিহিত আছে । তা এখন ও বিদ্যমান, কারণ প্রচলিত সামাজিক সম্পর্ক, কিভাবে সমাজে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের ভূমিকা পালন করে, বিজ্ঞানকে প্রকৃত অর্থে আজ ও মানুষের উপকারার্থে ব্যবহার করা হচ্ছনা । বরং তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের সর্বনাশের জন্য । তবে, পাশাপাশি পুজিঁবাদ বিনাশ করেছে সামন্তবাদকে, নির্মূল করেছে পশ্চৎপদ ধ্যান ধারণার এবং উলেলখযোগ্য হারে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সাধনে সহায়তা করেছে । আর ও একটি উলেখ যোগ্য খারাপ দিক হলো, পুজিঁবাদী সামাজিক সম্পর্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে অনেকাংশে বাধাগ্রস্ত করেছে ।

মাকর্স দেখেছিলেন উৎপাদন ব্যবস্থার সামাজিকি করনের স¤প্রসারণ । অনেক মানুষ দিন দিন একক  উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসছে । কৃষকগণ কৃষি কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন, তারা সৈনিক কর্মী, কারখানা, এবং আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতীর দিকে ঝুঁকে পড়ছেন । আজ, তা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা চলমান রয়েছে । একজন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ও মেক্সিকোর একজন শ্রমিক মিলে একটি পণ্য তাদের জায়গা থকেই খুব সহজেই তৈরী করতে পারেন । এটা সত্য যে, উৎপাদন অধিক মাত্রায় সামাজিকি করন হয়েছে, কিন্তু বন্ঠন ব্যবস্থাটি এখন ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে রয়েছে । মোদ্দাকথা, সমাজ অনেকটাই সার্বজনীন হয়ে উঠেছে, কিন্তু সমাজিক র্কতৃত্ব গুটি কয়েক জন মানুষের হাতে রয়ে গেছে ।

পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটাই হলো সমস্যা সৃষ্টিকারী একটা ব্যবস্থা । এটা মন্দা আর ভাঙ্গা গড়ার একটি চক্র । মানুষের জীবন একটি যুক্তিহীন বাজার ব্যবস্থার উপর ছেড়ে দেয়া হয় । পণ্যের উৎপাদন করাই হয় মুনাফা লাভের জন্য, মানুষের প্রয়োজনের জন্য নয় । মাকর্স এটাকে পণ্য উৎপাদনের একটি নৈরাজ্য হিসাবে বর্ণণা করেছেন । আর এই নৈরাজ্যটি হলো মানুষের চাহদার বিচারে একটি চরম অযৌক্তিক ব্যবস্থা ।

মাকর্স দুনিয়ার মানুষের মাঝে বিশাল বিভাজন সম্পর্কে ও বলেছিলেন, কতিপয় মানুষ একদিকে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছে এবং অন্যদিকে বাকী প্রায় সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছে। একদিকে বিপুল সম্পদের মালিক গৌষ্ঠি, অন্যদিকে সর্বহারা মানুষের ঢল। আজকের দিনে আমরা দেখছি একদিকে কারখানার মালিক, আর অন্যদিকে কারখানার শ্রমিক। পুঁিজবাদী বনাম সর্বহারা শ্রেণীর জনস্রোত । ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে এবং গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে।

এইরূপ একটি অযৌক্তিক ব্যবস্থা চিরকাল চলতে পারে না । মাকর্স ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন, এই শ্রেণী দ্বন্ধ, এই অস্থিরতা, এক সময় বিস্ফোরিত হয়ে বিপ্লব ঘটাবে । মাকর্সের বেশীর ভাগ বিশ্লেষণই আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। তবে, আজকের বিশ্ব কিছুটা ভিন্ন প্রক্রিয়ায় সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে মেরুকরন হয়েছে । এমনকি মাকর্স যেভাবে বলেছিলেন সেভাবে হয়নি। ১৫০ বছরের আগের বিশ্বের তুলনায় আজকের বিশ্ব কিছুটা ভিন্নতর । আজকের পৃথিবীতে একটি বড় রকম মেরুকরণ হয়ে গেছে । একটা বিশাল বিভক্তি বিরাজমান । তবে, আজকের দুনিয়ায় বিশাল পরিবর্তন ঘটে গেছে ।

বিশ্ব শ্রেণী বিশ্লেষন

পৃথিবীর প্রধান দ্বন্ধ হলো ধনী দেশ ও গরীব দেশ গুলোর সম্পদ বৈশম্য । বিশ্ব নগর বনাম বিশ্ব পল্লী । শোষক দেশ বনাম শোষিত দেশ । প্রথম বিশ্ব বনাম তৃতীয় বিশ্ব । আজকে বিপ্লবের জন্য আমাদের তা ভালো ভাবে বুঝতে হবে । আজকের বিশ্ব যে সকল সমস্যা মোকাবেলা করছে তার একমাত্র সমাধান হলো বিপব ।

১৮২০ সালে, ধনী দেশ ও গরীব দেশ গুলোর অনুপাত ছিল ৩ঃ১ । আর আজ তা বেড়ে দাঁিড়য়েছে ৭২ঃ১ অনুপাতে । দুনিয়া জোড়ে ধনী ও গরীবের পার্থক্য ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের ব্যবধান ও বাড়ছে দিনে দিনে । প্রথম বিশ্বের মানুষ এক বিলাশ বহুল জীবনযাপন করছে আর অন্যদিকে তৃতীয় বিশ্বেও মানুষ দারিদ্রতার করালগ্রাসে পিষ্ট হচ্ছে ।

বেকারত্ব, দারিদ্রতা, অনাহার, নিষ্ঠুরতা, যুদ্ধ, ধর্ষণ, ও সহিংসতা ..

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকেরও বেশী মানুষ দৈনিক মাত্র ৩ ডলারের ও কম আয় করে বেচেঁ থাকে । ভারতের মানুষের গড় আয় এখন ও দৈনিক মাত্র ৮০ সেন্টস এবং তার ও কম। তৃতীয় বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ বিশ্ব মোট আয়ের মাত্র ৫ শতাংশ পায়। অন্যদিকে, প্রথমবিশ্বের মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ আয় করে বিশ্ব মোট আয়ের ৭৫ শতাংশ ।

২২,০০০ শিশু প্রতিদিন কেবলমাত্র দারিদ্রতার কারনে তৃতীয় বিশ্বে মৃত্যুবরণ করে থাকে ।

প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ যারা তৃতীয় বিশ্বে বসবাস করে তারা জন্মগত ভাবেই অপুষ্টির শিকার। যাদের বেশীর ভাগই এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বসবাস করে ।  এছাড়া তৃতীয় বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মায় । এর বেশীর ভাগই এশিয়া ও আফ্রিকায় অঞ্চলের অধিবাসী ।

তৃতীয় বিশ্বের প্রায় ১০ মিলিয়ন শিশু ৫ বছর বয়সের আগেই মৃত্যু বরণ করে থাকে । যা ফ্রান্স, জামার্নী, ইটালী ও গ্রীসের মোট শিশু জন সংখ্যার সমান ।

কেবল মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ পৃথিবীর ৮৫ শতাংশ পানি ব্যবহার করে, আর সেই ১২ শতাংশ মানুষ হলো তৃতীয় বিশ্বের বাইরে বসবাস কারী । তৃতীয় বিশ্বের প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১জন পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে । তৃতীয় বিশ্বের ১.১ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং ২.৬ বিলিয়ন মানুষের মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধাই নেই । ১০ মিলিয়ন মানুষ জীবনপণ লড়াই করে কিছুটা পানি পাচ্ছেন । শুধুমাত্র পানির জন্যই প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয় । তৃতীয় বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ মৃত্যু বরণ করেন পানি বাহিত রোগের কারনে ।

তৃতীয় বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় কেবল মাত্র প্রতিরোধ মূলক রোগের কারণে ।  তৃতীয় বিশ্বেই ৯৫ % এইচ আই ভি রোগের কারনে সংক্রমিত হয় । তার সিংহ ভাগই হলো আফ্রিকায় । এদের মধ্যে মাত্র ১২% রোগী চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে থাকে । ধারনা করা হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে কেবল মাত্র এইচ আই ভির কারণে যত লোক মারা যাবে তা বিগত দুইটি মহা যুদ্ধের চেয়ে ও বেশী । তৃতীয় বিশ্বের মানুষই এর শিকার হবে  বেশী ।

প্রায় ১ বিলিয়নের ও বেশী মানুষ পড়া লিখা বিহীন ভাবে একুশ শতকে প্রবেশ করবে এমন কি যারা নাম টি ও লিখতে পারবে না। তৃতীয় বিশ্বের ১২১ মিলিয়ন মানুষের কোন প্রকার লেখা পড়া নেই । আর এর চূড়ান্ত জবাবই হলো বিপ্লব ।

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ..

আমরা এখন একটি যুদ্ধের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি , এটা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ । প্রথম বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে । তৃতীয় বিশ্বে চলছে গণ হত্যা, তৃতীয় বিশ্বে প্রতি বছর যত লোক মারা যাচ্ছে তা হলোকাষ্টের চেয়ে অনেক বেশী । যারা নিরবে তাদের প্রতিবেশীদেরকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করে এবং ছুঁেড় মারে অগ্নি কুন্ডে আমরা নিশ্চয়ই সেই সব তথাকথিত ভালো মানুষ গুলোকে  পছন্দ করি না ।  তৃতীয় বিশ্বে মানুষ পুড়ছে , পুড়ছে আমাদের প্রিয় পৃথিবী ।

প্রতি বছর, প্রতি মাস, প্রতি সপ্তাহ, প্রতি দিন ও প্রতি ঘন্টায়..

আমাদেরকে গ্রাস করছে, আখাল, যুদ্ধ, মৃত্যু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়,এসব ধনী দেশগুলো গরীব দেশ গুলোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে আর গরীদেরকে দূরে ছুঁড়ে ফেলছে । বিপ্লব ই হলো একমাত্র সমাধান ।

সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য সব কিছুই করবে, তারা তৃতীয় বিশ্বের জন্য কিছুই করবে না । প্রথমবিশ্ব ইরাক ও আফগাস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইন্দন দিচ্ছে । এবং ওবামা তার সর্বনাশা যুদ্ধ পাকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরানে স¤প্রসারিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে । সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ ও  রক্তাক্ত ।  ইহা কলম্বাসের সময় থেকে শুরু হয়ে আজ ও চলছে । তারা তাদের সাম্রাজ্যের স¤প্রসারনের জন্য একটি আস্ত মহাদেশের মানুষ কে সমূলে বিনাশ করেছে । মেক্সিকোর অর্ধেক তারা চুরি করেছে, মিলিয়ন মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে দাসে পরিণত করেছে , কেবল মাত্র আমেরিকার মানুষের আরাম আয়েশের জন্য এবং প্রথম বিশ্বকে গড়ে তুলার জন্য ।

নষ্ট সাম্রাজ্যবাদীরা সারা দুনিয়ায় যুদ্ধ বাধানোর জন্য নানা ইন্দন দিচ্ছে ঃ গুয়েতেমালা, এল সালভাদও,পেরু, কম্বোডিা, মেক্সিকো,এঙ্গোলা, ইথুপিয়া, সুমালিয়া,প্যালেষ্টাইন, লেবানন, কোরীয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং পিলিফাইন সহ অনেক দেশে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সাম্রাজ্যবাদীরা ৪ মিলিয়ন নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে । তারা তা করছেই..। প্রশ্ন হলো কবে তারা তা শেষ করবে? উত্তর : বিপ্লব ই হলো একমাত্র সমাধান ।

বিপ্লবী বিজ্ঞান..

চলমান সমস্যাকে অনেক বিশাল মনে হতে পারে। যে অন্যায় অবিচার চলছে তা থামার নয় । প্রথমবিশ্ব গরীব মানুষের সকল লড়াই সংগ্রামকে নস্যাৎ করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে। লেনিন বলেছেন, আমাদেরকে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে অবশ্যই আমূল পরিবর্তনকারী হতে হবে । যদি সত্যেই আমরা পরিবর্তন চাই, তবে আমাদেরকে অবশই বাস্তবতার দাবীতে আমূল পরিবর্তনকারী হয়ে উঠতে হবে।  আমাদেরকে সংকির্ণতা, নিচু মানষিকতা ত্যাগ করতে হবে । ত্যাগ করতে হবে সকল প্রকার অন্ধ অনুসরণ । বড় ধরণের পরিবর্তন সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে। সবাই বলে যে, তারা মুক্ত মনা, আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদের মন ও মানসিকতাকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের সকল ভয় ভীতির উর্ধ্বে  উঠতে হবে। আমরা নিচুতাকে ত্যাগ করব। আমরা কর্মকান্ডে আন্তরিক হব। আমরা আমাদেরকে বিপ্লব হিসাবে গড়ে তুলব ।

আদর্শ হলো আমাদের প্রধান অস্র । তৃতীয় বিশ্বের মানুষ ও তাদের বন্ধুদেরকে তাদের কিছু আছে তা নিয়েই যুদ্ধে নামতে হবে। যদি তাদের মাত্র একটি ছুরি থাকে, তবে তাই তারা ব্যবহার করবেন। একটি ইট অথবা একটি বন্দুক। মাওসেতুং এর সেনাপতি, লীন বিয়াও, বিপবী বিজ্ঞান হলো একটি আধ্যাত্মিক এটম বোমা যা দুনিয়াকে বাচিঁয়ে রাখবে । যখনই জনগণের কাছে বিজ্ঞানকে হাজির করা হয় তখনই তারা তা হাতে তুলে নেয় । মাকর্স, লেনিন ও মাও তারাই দুয়ার পরিবর্তন এনেছেন । সারা দুনিয়া লাল ঢেঊ ছড়িয়ে পড়েছিল । বিপবের প্রশ্নটি আমাদেরকে গভীরভাবে অধ্যন করতে হবে । আমাদেরকে অবশ্যই ভালোভাবে বুঝতে হবে অতীতের বিপব সংগঠনে সত্যি কি কি ঘটেছিল, এবং কি কি ভূল ত্র“টি ও হয়েছিল । মূলধারার প্রচার মাধ্যম যখন প্রচার করে যে, সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম নোংরা শব্দ, আমরা তখন তা অবশ্যই ঘৃণ্যভরে প্রত্যাখান করি। আমরা লিডিং লাইট হতে, নেতৃত্ব দিতে, এবং ভ্যানর্গাড হতে ভয় পাইনা । ইতিহাস আমাদের কাধেঁই এই দায়িত্ব অপর্ন করেছে । এর জন্য আমরা নিন্দিত ও হতে পারি । এটই আমাদের দায়িত্ব ।

নতুন শক্তি ..

আমাদের বিপব আসবে অন্ধকার স্থানগুলো থেকে, যেখানে অনেক গুলো পথের মধ্যে বিপ্লব কেবল মাত্র একটি পথ নয় বরং এটাই হলো এক মাত্র পথ এবং বাচাঁর উপায় । বিপব আসবে গরীব এলাকা থেকে, আদিবাসীদের মধ্য থেকে, পাহাড় ও জঙ্গল থেকে এবং এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে ।

চে গুয়েভারা একবার বলেছিলেন আমেরিকা হলো, বণ্যপ্রাণীদের এক উপত্যাকা। আমেরিকা সহ  প্রথম বিশ্ব দুনিয়ার সকল  নিপিড়িত মানুষের রক্ত শোষে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রথম বিশ্বের মানুষেরা সামগ্রীক বিশেষনে প্রায় সকলেই বণ্য ও পাশবিক। তারা এখন আর দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকে না । প্রথম বিশ্ব আমাদের সকলের প্রিয় গ্রহটিকে বিনষ্ট করে সবকিছু শোষে নিচ্ছে । এর পর ও প্রথম বিশ্বে কিছু কিছু অনিয়ম ও অব্যবস্থা থাকায় কিছু লোক বিশ্ব লড়াই সংগ্রামের অংশ হিসাবে কমিউনিজমের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে । স্বল্প সংখ্যকই ভোগবাদের চক ভেঙ্গে, মার্কিন জীবন যাত্রার পরবর্তন ঘটাতে চায় । চলমান কতিপয় অব্যবস্থার কারণে প্রথম বিশ্বের কিছু মানুষ লাল বড়ি গিলতে ও পারেন । প্রথম বিশ্বের অব্যবস্থাপনা দূরী করন সংক্রান্ত আন্দোলন করতে গিয়ে, তৃতীয় বিশ্বে  চলমান আন্দেলনে তারা ও যুক্ত হতে পারেন । এটা এখন পরিস্কার যে, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বের মানুষ কমিউনিজমের স্বপ্ন ইতিমধ্যেই ত্যাগ করেছে । তাদের আত্মকেন্দ্রীক জীবন যাত্রা প্রায় অর্ধদুনিয়ার মানুষকে অনাহার, আখাল আর প্রকৃতিক মহা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে । প্রথম বিশ্বের মানুষকে এখন গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে যে, তারা কেমনতর জীবন যাপন করছেন। প্রথম বিশ্বের মানুষ  আর পাবেনা বরং দিতে হবে । মানবজাতি সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম প্রথম বিশ্বে কায়েম করবে, প্রথম বিশ্বের মানুষ তা চায় বা না চায় । বিশ্ব জনযুদ্ধ আসছে। প্রথম বিশ্বকে বিনাশ করা হবে, এখন যেরূপ আছে তা আর থাকবেনা। ভিন্ন হিসাব নিকাসে পৃথিবী চলবে । নতুন শক্তি হিসাবে লিডিং লাইটের আর্বিভাব ঘটবে।

এনার্কো-কমিউনিজমের পথে চল..

একটি নতুন দুনিয়া! একটি নতুন শক্তি ! সকল নিপিড়ন আর বঞ্চনার যবনিকাপাত! কোন শোষন নয়, কোন ধনী বা গরীব নয়, থাকবেনা কোন জাতিগত নিপিড়ণ । কোন লৈঙ্গীক নিপিড়ণ নয়, গরীব, নারী, ও যুব সমাজের সত্যিকার স্বাধিনতা আসবে। আর ইগুইজম নয়, নয় আত্মকেন্দ্রীক ভোগবাদ, নয় আর আমি, আমি, আমি । আসবে সত্যিকার স্বাধীনতা । অনাবিল মুক্তি।

সমতা, যৌথতা, বিকল্পতা । একটি সমাজ গড়ে তুলা হবে ঠেকসই প্রক্রিয়ায় প্রানুষের প্রয়োজনে, তা অর্থ লিপ্সা নয়, মুনাফা শিকারের জন্য ও নয়।  প্রত্যেকে তার সামর্থ অনুসারে কাজ করবে, এবং প্রয়োজন অনুসারে পাবে। মাও বলেছেন, জনগনকে সেবা করুন ।  ঠেকসই উন্নযন এর অর্থই হলো, আমাদের সকলের সাধারণ আবাসস্থল পৃথিবীতে প্রতিটি জীব ও জড় বস্তুর সুসমন্নয় সাধন করে তাতে শান্তি, ন্যায় বিচার, ও কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করা। কেবলমাত্র লিডিং লাইট কমিউনিজমই বিপবী বিজ্ঞান অনুসরন করে দুনিয়ার সকল কে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। একটি ঝড় আসছে, সেটা ভিন্ন রকম এক ঝড় । এটাই বিপবের তৃতীয় ঢেউ । এটাই মানবতার মহা উত্থান । আমরা অবশ্যই পৃথিবীর সকল অন্ধকার বিদূরিত করবার জন্য আলো নিয়ে আসব । সেই আলো কমিউনিজমের আলো।

আমরা কে কোথা থেকে এসেছি সেটা বিবেচনার বিষয় নয়। সাদা, কালো, নিল চোখ । বাদামী চোখ, প্রথম বিশ্ব , তৃতীয় বিশ্ব । তবে এটা বিবেচনা করব আমরা কোথায় যাচ্ছি । আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য অংশীদার হবো, সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য নয় । আমাদের একটি প্রকৃত বিপ্লব সাধন করতে হবেই ।

আমাদের আগেও মানুষ বিপ্লব সাধন করেছেন। আমাদের পরে ও তারা বিপ্লব করবেন । কিন্তু এখন সময়টা আমাদের সকলে মিলে লং মার্চ করার । এই লং মার্চ ঘাৎ প্রতি ঘাতের ভিতর দিয়েই এগোবে। ইহা নানা প্রকার ভূল ও শুদ্ধতার ভেতর দিয়েই এগোবে। এটা হচ্ছে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই । আমরা রাতারাতি বিজয়ী হতে পারব না । তবে তা আবার অনন্তযাত্র ও নয়। আমরা এই পথে সকলে মিলে চলব। আমাদের সাথেই চলুন..কারণ, বিপ্লবই হলো সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান।