১৫০০ চা-শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেছেন।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের তিনটি চা-বাগানের ১৫০০ চা-শ্রমিক কাজে যোগদান না করে মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি-কোম্পানির (এনটিসি) কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরুঞ্জী চা-বাগানে এ কর্মবিরতি পালন করেন চা-শ্রমিকরা। চা-বাগানে বদলি হয়ে আসা এক কর্মচারীর যোগদান ও বাগানের শিক্ষিত বেকার শ্রমিকদের শিক্ষিত সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ দানের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা।

উপজেলার বাঘাছড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি রাখাল গোয়ালা বলেন, ন্যাশনাল টি-কোম্পানির পাত্রখোলা চা-বাগানের বিতর্কিত কর্মচারী আব্দুল কাইয়ুমকে বদলি করে কুরমা চা-বাগানে নিয়োগ দেয়া হয়। বদলি কর্মচারী আব্দুল কাইয়ুম কুরমা চা-বাগানে যোগদান করায় সাধারণ চা-শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ফলে তিন চা-বাগানের নিবন্ধিত ১৫০০ চা-শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। একইসঙ্গে কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরঞ্জী চা-বাগানের শিক্ষিত বেকার চা-শ্রমিকদের সন্তানদের শূন্যপদে নিয়োগের দাবি জানায় চা-শ্রমিকরা।

কুরমা চা-বাগানের চা-শ্রমিক সত্য নারায়ণ কুর্মী, মদমোহন তেলী, বাবুল মিয়া বলেন, এই চা-বাগানে ৮টি শূন্যপদ রয়েছে। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করলেও এসব শূন্যপদে তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। অথচ অন্য চা-বাগানের বিতর্কিত একজন কর্মচারীকে কুরমা চা-বাগানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই সাধারণ চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এক কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

কুরমা চা-বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, কোম্পানির নিয়মেই পাত্রখোলা চা-বাগানের কর্মচারী আব্দুল কাইয়ুমকে কুরমায় বদলি করা হয়েছে। আর শূন্যপদে নিয়োগ বা কারা নিয়োগ পাবে তা কোম্পানির বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দেবেন। স্থানীয় ব্যবস্থাপক হিসেবে আমার কিছুই করার নেই।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনাটি আমি জানি না। বাগান কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছুই জানায়নি।


Share Tweet Send
0 Comments
Loading...
You've successfully subscribed to Bangladesh ASF
Great! Next, complete checkout for full access to Bangladesh ASF
Welcome back! You've successfully signed in
Success! Your account is fully activated, you now have access to all content.